বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিম জং উনের মতো স্বৈরতন্ত্র চালাচ্ছেন- সন্দেশখালির ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ গিরিরাজ সিং-এর

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কিম জং-এর মতো স্বৈরাচারী সরকার চলছে। তিনি অভিযোগ করেন, বাংলায় গণতন্ত্র স্পষ্টভাবে অনুপস্থিত।

Parna Sengupta | Published : Jan 7, 2024 6:39 AM IST

সম্প্রতি রেশন কেলেঙ্কারির তদন্ত করা ইডি দলের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা দেশ জুড়ে। শুক্রবার সাড়ে সাতটা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দেয় ইডির পাঁচ আধিকারিক। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরাও। সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল তারা। সেখানেই বাধার মুখে পড়তে হয়। রুখে দাঁড়ায় গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের প্রায় ২০০ জন তাদের ওপর চড়াও হয়। প্রথম সারিতেই ছিল মহিলারা। এই ঘটনায় অল্প সময়ের মধ্যেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।

স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি এখন রাজনৈতিক রং ধারণ করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কিম জং-এর মতো স্বৈরাচারী সরকার চলছে। তিনি অভিযোগ করেন, বাংলায় গণতন্ত্র স্পষ্টভাবে অনুপস্থিত। মনে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উনের মতো সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের মতো কিছুই নেই। মনে হচ্ছে সেখানে কিম জং-উনের সরকার আছে।

এদিকে, এই ঘটনায় কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি বলেছেন, খুন হলেও নতুন কিছু হবে না। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গণতন্ত্র। এদিকে, কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে একই মঞ্চ ভাগ করে নেয়। তবে এই ঘটনায় তৃণমূলকে নিশানা করতে ছাড়েনি। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন অধীর। পশ্চিমবঙ্গের ইনচার্জ এবং কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন যে রাজ্যে এখন আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। তিনি বলেছিলেন যে রাজ্যে অফিসারদের হত্যা করা হলে তিনি অবাক হবেন না।

উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও অফিসারদের উপর হামলার নিন্দা করে একে একটি বিপজ্জনক, নিন্দনীয় এবং ভয়ানক ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এটি একটি ভয়ানক ঘটনা। এটা উদ্বেগজনক ও নিন্দনীয়। গণতন্ত্রে বর্বরতা প্রতিরোধ করা সভ্য সরকারের দায়িত্ব। যদি কোনো সরকার তার মৌলিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, ভারতের সংবিধান তার রাস্তা গ্রহণ করবে। আমার সমস্ত সাংবিধানিক বিকল্প যথাযথ পদক্ষেপের জন্য সংরক্ষিত। এই প্রাক-নির্বাচন হিংসা দ্রুত শেষ হওয়া উচিত। এটাই সেই শেষের শুরু। তিনি বলেন, বাংলা কলা প্রজাতন্ত্র নয়। সরকারকে গণতন্ত্রে বর্বরতা বন্ধ করতে হবে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!