শনিবার নির্ধারিত সময় অর্থাৎ বিকেল ৪টে আদিত্য এল ১ সফলভাবে তাঁর গন্তব্যে পৌঁছানোর চূড়ান্ত পথে প্রবেশ করেছে।
সাফল্যের আরও একটি মাইলস্টোন পার করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। শনিবার নির্ধারিত সময় অর্থাৎ বিকেল ৪টে আদিত্য এল ১ সফলভাবে তাঁর গন্তব্যে পৌঁছানোর চূড়ান্ত পথে প্রবেশ করেছে। এদিন আদিত্য এল-১ হ্যালো কক্ষপথে প্রবেশ করবে। এই সাফল্যের জন্য মহাকাশ বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, 'ভারত আরও একটি ল্যান্ডমার্ক তৈরি করেছে। ভারতের প্রথম সোলার অবজারভেটরি আদিত্য-এল১ গন্তব্যে পৌঁছেছে। এটি সবচেয়ে জটিল মহাকাশ মিশনগুলির মধ্যে একটি।'
সোমবারই ইরসোর প্রধান এস সোমনাথ একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন আদিত্য এল ১ ৬ জানুয়ারি বিকেল ৪টে এল ১ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে। সেখানে এটিকে রাখার চূড়ান্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছানোর পরই মহাকাশযানটি কোনও গ্রহণ ছাড়াই সূর্যকে দেখতে সক্ষম হবে।
বিজ্ঞানীদের এই সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, ভারত আরও একটি ল্যান্ডমার্ক তৈরি করেছে। ভারতের প্রথম সোলার অবজারভেটরি আদিত্য-এল১ গন্তব্যে পৌঁছেছে।
Aditya-L1 এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩। PSLV-C57 লঞ্চের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয়েছিল সূর্য মিশনের। জটিল কক্ষপথের কৌশল ও ১১০ দিনের ট্রানজিটের পর মহাকাশযানটি এখন হ্যালো কক্ষপথের চূড়ান্ত পর্বে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। এই কক্ষপথটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি উপগ্রহটিকে গ্রহণ থেকে বাঁচাতে সক্ষম। হ্যালো কক্ষপথে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের হস্তক্ষেপ ছাড়াই আদিত্য এল-১ ধারাবাহিকভাবে সূর্যকে প্রদক্ষণ করবে ও পর্যবেক্ষণ করবে।
এই মিশনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল সৌর বায়ুমণ্ডল, বিশেষ করে ক্রোমোস্ফিয়ার ও করোনা অধ্য়ায়ন করা, করোনাল ভর ইজেকশন , সৌর শিখা, সৌর করোনার রহস্যময় উত্তাপের মত ঘটনা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই সৌর ইভেন্টগুলি বোঝা অত্যাবশ্যক কারণ তারা মহাকাশ আবহাওয়ার উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে, সম্ভাব্যভাবে স্যাটেলাইট অপারেশন, টেলিযোগাযোগ এবং পৃথিবীতে পাওয়ার গ্রিডগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে।