বন্ধুর সঙ্গে সাইকেল চালাতে গিয়ে নির্যাতিতা মহিলা। ১০ মিলে পালা করে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। মারধর করা হয় প্রেমিককেও।
আবারও বেআব্রু হল নারী। এবার ঝাড়খণ্ডের চাইবাসায়। ২৬ বছর বয়সী এক সফ্টওয়ার ইঞ্জিনিয়ারকে পালা করে গণধর্ষণের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। শনিবার এই তথ্য দিয়েছেন চইবাসা জেলা পুলিশ।
ঝাড়খণ্ড পুলিশ জানিয়েছেন ২৬এর তরুণী ঝাড়খণ্ডের চাইবাসাতেই থেকেন। কর্মরতা মহিলা। করোনাভাইরাসের মহামারি কালের পর থেকেই তিনি বাড়িতে বসেই অফিসের কাজ করতেন। ঘটনার সূত্রবার বৃহস্পতিবার। তিনি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। বয়ফ্রেন্ডের টোকরাহাতু এয়ারস্ট্রিপে সাইকেল চালাতে গিয়েছিল। সেখানেই তাঁদের ওপর চড়াও ৮-১০ জন দুষ্কৃতীর একটি দল।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী তিনি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময়ই আট -১০ জন চড়াও হয়। তাদের মারধর করে। প্রমেকি তাঁর বন্ধুকে মেরে কাহিল করে দেয়। তারপর তাঁকে একটি নির্জন স্থানে জোর করে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে পালা করে একের পর এক দুষ্কৃতীরা মহিলাকে যৌন নির্যাতন করে। পুলিশ জানিয়েছে বর্তমানে মহিলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানেও মহিলার জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে মহিলার প্রেমিককে প্রথমে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। তারপর মহিলাকে নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। সেখানে আটকে রেখে মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। মহিলা পরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। তারপরই সদর মহকুমা পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ অফিসার দিলীপ কালেকো ও মফঃস্বল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পবন পাঠন দলবল নিয়ে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ঝাড়খণ্ডের চাইবাসা এলাকা। নির্যাতিতা মহিলার পরিবার রীতিমত আতঙ্কিত। তবে কে বা কারা এই গণধর্ষণকাণ্ডে যুক্ত তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। নির্যাতিতা মহিলার জবানবন্দি অনুযায়ী তিনি দুষ্কৃতীদের চিনতেন না। তবে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা দুষ্কতীর দল। তাদের সন্ধানে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি।
খুনের আগে কি যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল অঙ্কিতা ভাণ্ডারীকে? জানুন কি বলছে ফরেনসিক রিপোর্ট