গণধর্ষণের পরেও রেহাই নেই! মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নির্যাতিতাকে পুলিশ ভ্যানে থাকতে হল টানা ১২ ঘণ্টা

গণধর্ষিতা মহিলার মেডিক্যাল টেস্টে গাফিলতির অভিযোগ ওড়িশায়। নির্যাতিতাকে নিয়ে দুই হাসপাতালের মধ্যে ঠেলাঠেলি।

 

Web Desk - ANB | Published : Jan 21, 2023 12:21 PM IST

গণধর্ষণে মৃত্যু হয়নি। কিন্তু বেঁচেও নিস্তার নেই। মেডিক্যাল টেস্টের জন্য এক নির্যাতিতাকে পুলিশের ভ্যানে ১২ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে ওড়িশার কেওনঝার জেলায়। বৃহস্পতিবার সোসো থানায় গণধর্ষণের একটি মামলা দায়ের হয়েছে আনন্দপুর মহকুমার ঘটনাটিকে নিয়ে।

বৃহস্পতিবার সকালে নির্যাতিতা ৩৭ বছর মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আনন্দপুর মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করতে অস্বীকার করে। হাসপাতালের চিকিৎসকদের অভিযোগ ছিল, যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে সেটি সালানিয়া কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের অধীনে পড়ে। তাই তাঁরা মহিলার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে রাজি হননি।

এই ঘটনার পরই পুলিশ কর্মীরা মহিলাকে নিয়ে আবারও সালানিয়াতে যান। কিন্তু সেখানে কোনও মহিলা চিকিৎসক ছিল না, সেই কারণে মহিলাকে ভ্যানেই বসিয়ে রাখা হয়েছিল। দীর্ঘ অপেক্ষার পর পুলিশ মহিলাকে আবারও আনন্দপুর হাসপাতে নিয়ে আসে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেই নির্যাতনের পর সেই মহিলা প্রথম সেখানেই চিকিৎসা পান। মহিলার প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষাও সেখানে হয়।

নির্যাতিতা মহিলা জানিয়েছেন, 'আমাকে বলা হয়েছে রাতে সম্পূর্ণ ডাক্তারি পরীক্ষা করা যাবে না। তাই আমাকে শুক্রবার আবারও আসতে বলা হয়েছে।' পুলিশও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গণধর্ষিতা মহিলার মেডিক্যাল টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে শুক্রবার।

সোসো থানার দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসার প্রদীপ কুমার শেঠী বলেন, চিকিৎসকরা আমাদের আনন্দপুর সরকারি হাসপাতালে রেফার করেছেন, কারণ সেখানে কোনও মহিলা চিকিৎসর ছিল না। আর সেই কারণে পুলিশ কর্মীদেরও যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল। পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, তাঁরা ইচ্ছেকৃতভাবে নির্যাতিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় দেরি করেছেন এমনটা নয়!

নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার সময় আনন্দপুর হাসপাতাল থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে মহিলাকে গণধর্ষিতা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তারপর সঙ্গে সঙ্গেই মহিলাকে নিয়ে আসা হয় সোসো থানায়। রাত ৯টার সময় মহিলার প্রথম স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। সেই সময় মহিলাকে প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়ে। কেওনঝড় জেলার মেডিক্যাল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তিনি ছুটিতে রয়েছে। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতের কর্তারা এই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে বুধবার অর্থাৎ ১৮ জানুয়ারি। মহিলা তাঁর খুড়তুতো ভাইয়ের সঙ্গে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিল। সেই সময় তিন দুষ্কৃতী মহিলার ভাইকে মারধর করে মহিলাকে তুলে নিয়ে যায়। গোবিরাবাই এলাকায় মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই মহিলা সোসো থানায় এসে পরের দিন অভিযোগ দায়ের করে। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের আটক করা যায়নি।

আরও পড়ুনঃ

Modi documentary: বিবিসি-র তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই মোদীর পক্ষে সওয়াল করে চিঠি বিদগ্ধজনের

Netaji's birthday:নেতাজির সঙ্গে আরএসএস-এর আদর্শ খাপ খায় না, জন্মদিন পালন নিয়ে কড়া বার্তা মেয়ের

রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরে জোড়া বিস্ফোরণ, প্রশ্নের মুখে কংগ্রেস নেতার নিরাপত্তা

Share this article
click me!