শচীন পাইলটরা বিশ্বাসঘাতক দলে ফেরানো যাবে না
দলীয় বৈঠকে বলল অশোক গেহলট শবির
পাইলটদের ভবিষ্যৎ হাইকমান্ডের হাতে
শচীন পাইলটের কথা বলছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও
আবারও অস্বস্তি বাড়তে চলেছে শচীন পাইলট শিবিরে। রবিবার রাজস্থানের কংগ্রেসের বিধায়কদের বৈঠকে শচীন পাইলট ও তাঁর নেতৃত্বে থাকে ১৮ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে দল থেকে ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েগেছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের উপস্থিতিতেই শচীন বিরোধী আওয়াজ ওঠে। দলের অনেক বিধায়কই বলেন শচীন পাইলটদের বিশ্বাসঘাতক তকমা দিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশই তাঁদের দাবি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরোধিতা করার জন্য চরম সাজার প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণেই তাঁদের আর দলে ফিরতে দেওয়া যাবে না।
দলেরই এক প্রবীন নেতা জানিয়েছেন, নগর উন্নয়ন ও আবাসন মন্ত্রী শান্তি ধারিোয়ালের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন অশোক গেহলট শিবিরের অধিকাংশ বিধায়ক। আগামী ১৪ অগাস্ট রাজস্থান বিধানসভার অধিবেশন শুরু হবে। সেখানেই আস্থা ভোটের পথে হাঁটবেন অশোক গেহলট। জয়সালমীরের বৈঠকে উপস্থিত একাংশ বিধায়কের দাবি শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামীরা যদি আস্থা ভোটে উপস্থিত থাকেন আর তাঁরা যদি কংগ্রেসকে সমর্থন করেন তবেই তাঁদের দলে ফিরিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
শচীন পাইলট ও বিক্ষুদ্ধ বিধায়কদের প্রসঙ্গে রাজস্থান কংগ্রেস শেষ কথা বলবে এমনটা নয়। কারণ ইতিমধ্যেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কংগ্রেসের হাইকমান্ড। রাজস্থানের দায়িত্বে থাকা অবিনাশ পাণ্ডে বলেছেন পাইলটদের ভাগ্য বর্তমানে হাইকমান্ডের হাতে রয়েছে। তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। সূত্রের খবর শচীন পাইলটকে এখনও দলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জাতীয় স্তরের নেতৃত্ব। একটি সূত্র আবার বলছে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে স্বয়ং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কারণ তিনি টেলিফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন শচীন পাইলটের সঙ্গে।
রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ট হিসেবেই পরিচিত শচীন পাইলট। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক রীতিমত ভালো। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করার পর থেকেই প্রিয়াঙ্কা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলেও সূত্রের খবর। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি শচীন পাইলট ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তবে এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেননি রাহুল গান্ধী।
যদিও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও শচীন পাইলট ইস্যু প্রকট হওয়ার পরই কংগ্রেস নবীন বনাম প্রবীন দ্বন্দ্ব সামনে আসছে। এই অবস্থায় কংগ্রেস যদি শচীনকে ফিরিয়ে নেয় তাহলে বোঝা যাবে শতাব্দী প্রাচিন এই দলটি তরুণ প্রজন্মের ওপর আস্থা রাখতে চাইছে। গতকালও শশী থারুর রাহুল গান্ধীকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।