দিল্লির মহিলার ওপর অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছে জাতীয় মহিলা কমিশন। মহিলাকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আবারও গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকা। সম্প্রতি গাজিয়াবাদে এক মহিলাকে বন্দুক দেখিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ মহিলাকে দুই দিন ধরে আটকে রেখে যৌন নির্যাতন চালান হয়। এই ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম ঘটনাস্থলে পাঠাচ্ছে জাতীয় মহিলা কমিশন। মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে টুইট করে জানান হয়েছে, গণধর্ষণের ঘটনায় আক্রান্ত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করা জন্য দুই সদস্যের একটি ফ্য়াক্ট - ফাইন্ডিং দল পাঠাচ্ছে জাতীয় মহিলা কমিশন।
ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। পুলিশ সূত্রে ৩৬ বছরের এক মহিলা বাড়ি ফেরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি অটোর জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু সেই সময়ই পাঁচ জন ব্যক্তি তাঁকে বন্দুক দেখিয়ে অপহরণ করেন। তারপর একটি পরিত্যক্ট স্থানে নিয়ে গিয়ে টানা দুই দিন আটকে রাখে। সেখানে মহিলাকে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয়েছে। বর্তমানে মহিলা ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে।
মহিলার চিকিৎসা চলছে গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মহিলার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে এখনও মহিলার দেহে কোনও অভ্যন্তরীন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মহিলার দেহে যৌন নিপীড়নে চিহ্ন রয়েছে। মহিলার শরীরে একটি 'বিদেশী বস্তু ' পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে মহিলাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দুষ্কৃতীরা ফেলে রেখে গিয়েছিল । মহিলা দিল্লির নন্দনগরীর বাসিন্দা। তাঁকে একটি পাটের ব্যাগের মধ্যে ঢোকানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। নির্যাতিতার হাত ও পাঁ বাঁধা ছিল। মহিলার গোপনাঙ্গে একটি লোহার রড ঝোকানো ছিল। তেমনই দাবি করেছে দিল্লির মহিলা কমিশন।
গাজিয়াবাদ পুলিশ আধিকারিক নিপুন আগরওয়াল জানিয়েছেন নন্দগ্রাম থানা ১১২ ইমার্জেন্সি হেল্পলাইনে গত ১৮ অক্টোবর ভোর রাত ৩টে ৩০ মিনিট নাগাদ একটি ফোন কল পেয়েছিল। ফোনে বলা হয়েছিল আশ্রম রোডে এক মহিলা পড়ে রয়েছে। পুলিশ দ্রুত মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, মহিলা তাঁর বয়ানে বলেছিল, ঘটনার আগের দিনই ভাইয়ের জন্মদিনের পার্টিতে গুরুগ্রাম গিয়েছিল। সেখানে সেখান থেকেই তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে,দুষ্কৃতীরা তাঁর ভাইকে ঠেলে ফেলে দিয়ে মহিলাকে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে মহিলা জানিয়েছিলে দুই জন ধর্ষণ করেছিল। কিন্তু পরে মহিলা বয়ান পরিবর্তন করে বলেন পাঁচ জন ছিল। পুলিশ সূত্রের খবর আক্রান্ত আর অভিযুক্তের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ছিল। তবে পুরো বিষয়টি বর্তমানে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দাউদ আর হাফিজ সাইদকে কি ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে? এই প্রশ্নে ঠোঁটে আঙুল পাক প্রতিনিধির
'বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সব বড় দল আসবে', ভারতের পাকিস্তান সফর নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই সওয়াল অনুরাগ ঠাকুরের