ঘরে ঢুকে মারব। সে তুমি যেখানেই থাকো না কেন। আর হিন্দিতে ঘুস কর মারেঙ্গে। যা ছিল বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের মূলমন্ত্র। আর সেই মন্ত্রই আবার ফিরিয়ে আনলেন তৎকালীন বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া। যিনি এখন প্রাক্তন। বালাকোট বিমান হামলার বর্ষপূর্তিতে সেই দিনের স্মৃতিচারণ করে বিএস ধানোয়া বলেন, বালাকোটের সাফল্য ভারতীয় বিমান বাহিনীর কাছে একটি দৃষ্টান্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে পাকিস্তান কোনও দিন ভাবতেই পারেনি যে ভারত পাকসীমান্ত লঙ্ঘন করে হামলা চালাতে পারে। তাই বালাকোট হামলা ছিল পাকিস্তানের কাছে কল্পনাতীত। তবে এখানেই শেষ নয়। প্রয়োজন হলে ভারত আবারও সন্ত্রাস দমনের জন্য ঘরে ঢুকে হামলা চালাতে প্রস্তুত। সেই বার্তাও দিয়ে রেখেছে ভারত।
আরও পড়ুনঃ বালাকোট সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, প্রত্য়য়ী প্রত্যাঘাতের এক বছর
এক বছর আগে ঠিক এই দিনটিতেই পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার বদলা নিয়েছিল ভারত। আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল ভারতের ১২টি মিরাজ২০০০ যুদ্ধ বিমান। বোমা মেরে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানের মাটিতে ঘাঁটি তৈরি হওয়া জইশ-ই-মহম্মদের ট্রেনিং ক্যাম্প। ভারতের এই এয়ার স্ট্রাইকের পরই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল বিশ্বজুড়ে। রীতিমত সমালোচলা শুরু করে দিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু সন্ত্রাস মোকাবিলায় ভারতের এই পদপেক্ষকে স্বাগত জানিয়েছিল অধিকাংশ মানুষ।
পুলওয়ামার জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছিল কাশ্মীরের মাটি। শহিদ হয়েছিল ৪০ জওয়ান। তবে বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইকে নিকেশ হওয়া জঙ্গির সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ভারতের দাবি প্রায় তিনশো জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল। পাশাপাশি দাবি করা হয়েছিল ভারতের মাটিতে জঙ্গি হামলার বদলা এভাবেই নেওয়া হবে। অর্থাৎ ভারতে হামলা চালিয়ে আর পার পাবে না কোনও সন্ত্রাসবাদী।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার স্ট্রিট ফুড দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ, দাবি ডেপুটি মেয়রের
লোকসভা ভোটের আবহেই হয় বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল গুলি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেও নিজেদের অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ তথা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। একাধিক জনসভায় দাঁড়িয়ে তাঁরা নাম না করে বালাকোটের সাফল্য তুলে ধরেছিলেন। পাশাপাশি বলেছিলেন কড়া হাতেই হবে সন্ত্রাস দমন। প্রয়োজনে জঙ্গি শিবিরে ঢুকে হামলা চালানো হবে।
আরও পড়ুনঃ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নতুন নিয়ম, পকেটে টান পড়তে চলেছে গ্রাহকদের
বালাকোটের বর্ষপূর্তীতে সেই সুরই শোনা গেল তৎকালীন বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়ারা গলায়। সেইদিনের স্মৃতিচারণ করে এদিন তিনি বলেন একবছর আগের এই দিন ভারতের কাছে যথেষ্ট গর্বের। এখন আমরা সন্তুষ্টির সঙ্গেই পিছনে ফিরে তাকাতে পারি। বালাকোট অভিযান থেকে প্রচুর পাঠ নিয়েছে ভারত। এই অভিযানের পর অনেক কিছুই বাস্তবায়িত হয়েছে। পাশাপাশি এদিন তিনি আরও বলেন বালাকোট অভিযানের কারণেই দেশের সাধারণ নির্বাচনে বড় কোনও জঙ্গি হামলা হয়নি। ভারতের কড়া পদক্ষেপে ভয় পেয়েছিল সন্ত্রাসবাদীরা।