দিল্লিতে অব্যাহত মৃত্যু মিছিল, কেন্দ্রের কাছে সেনা চাইলেন কেজরিওয়াল

  • দিল্লির হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮
  • উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে অজিত ডোভাল
  • অতিরিক্ত বাহিনী চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল
  • পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

Asianet News Bangla | Published : Feb 26, 2020 6:13 AM IST / Updated: Feb 26 2020, 11:52 AM IST

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে ঘিরে শুরু হওয়া হিংসায় গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে উত্তপ্ত রাজধানীর পরিস্থিতি। হিংসার আগুনে দিল্লির মৌজপুর, ব্রহ্মপুরী, ভজনপুরা চক, গোকুলপুরী সহ বিভিন্ন এলাকা। ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বুধবার সকালে গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে সুনীল কুমার গৌতম নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ফলে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮। 

আরও পড়ুন: পরিস্থিতি সামলাতে দিল্লিতে অজিত ডোভাল, আক্রান্ত এলাকায় স্থগিত সিবিএসই-র বোর্ড পরীক্ষা

আরও পড়ুন: বালাকোট অভিযানের জন্যই লোকসভা ভোট শান্তিতে, বর্ষপূর্তিতে দাবি প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধানের

পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিক, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপরাধ্যপাল অনিল বৈজল এবং খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই আসরে নেমেছিলেন। এবার দিল্লির হিংসা রুখতে ময়দানে নামতে হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে রাতে দিল্লি পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বুধবার সকালে উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিস্তির্ণ অঞ্চল সরেজমিনে ঘুরে দেখেন তিনি। 

 

এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি পেশ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইতিমধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষের মধ্যে দিল্লির সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে আইনৃশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য স্পেশাল সেল, ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার তরফ থেকে প্রায় ৩৫ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। 

 

 

এরমধ্যেই দিল্লি পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দাবি করছে, দিল্লির পরিস্থিতি একপ্রকার নিয়ন্ত্রণে। সেনা নামানোর সম্ভাবনাও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে খুলে দেওয়া হয়েছে মেট্রো স্টেশনগুলি। সকাল থেকেই উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় চলছে পুলিশি টহলদারি। 

 

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি সত্ত্বেও পরিস্থিতি কিন্তু এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বুধবার সকালেও বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর পাওয়া গেছে। । উন্মত্ত জনতার রোষ থেকে বাদ যাচ্ছে না সমাজের কোনও অংশের মানুষই। প্রাথমিকভাবে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়ালেও পরে তাদের ‘টার্গেট’ হয়ে উঠেছে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী। এরপর আক্রমণ করা হয় খবর সংগ্রহে আসা সাংবাদিকদেরও।

Share this article
click me!