পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৭টি আসন। বিজেপির দখলে ছিল ১৩টি আসন।
দেখতে দেখতে পাঁচ বছর পার হয়ে গিয়েছিল। এই পাঁচ বছরে অনেকটাই বদলে গেছে উপকূলবর্তী কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গোয়ার (Goa) রাজনৈতিক চালচিত্র। চলতি বছর আবারও ভোট গোয়া বিধানসভা (Goa Assembly election )। ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভার কর্তৃত্ব ধরে রাখতে এবার জোর লড়াই হবে কংগ্রেস-বিজেপির মধ্যে। তবে এবার গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও আপ আদমি পার্টি। ইতিমধ্যেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করে দিয়েছে।
যাইহোক পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৭টি আসন। বিজেপির দখলে ছিল ১৩টি আসন। গোয়া ফরোয়ার়্ পার্টির দখলে ছিল ৩টি আসন। গত বিধানসভা নির্বাচনে অন্যান্যরা জয় পেয়েছিল ৪টি কেন্দ্রে। তবুও সেবার গোয়া সরকার গঠন করতে পারেনি কংগ্রেস। কংগ্রেসের থেকে আসন সংখ্যায় পিছিয়ে থেকেও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করছিল বিজেপি। জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মনোহর পারিক্কর। তাঁর মৃত্যুর পর ক্ষমতা এসেছিল প্রমোদ সাওয়ান্তের অধীনে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিজেপির তুলনায় ভোটের হারে পিছিয়ে ছিল। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আটটি আসনও হাতছাড়া হয়েছিল। অন্যদিকে সেই আটটি আসনয়ই পেয়েছিল কংগ্রেস। সেইসময় কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যপাল কংগ্রেসেকে সরকার গঠন করতে ডাকেনি। উল্লে সরকার গঠন করতে ডেকেছিল বিজেপিকে। যা নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক কাজের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। যাইহোক আরব সাগর দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে গত পাঁচ বছরে। কংগ্রেসেও পাল্লা দিয়ে শক্তি হারিয়েছে। কংগ্রেসের একগুচ্ছ নেতা দল ছেড়ে আগেই বিজেপিতে যোগ দান করেছেন।
কংগ্রেসের সেই ভাঙা ঘরেই ভাগ বসিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেসের অনেক নেতা কর্মীরাই বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। এই অবস্থায় গোয়া বিধানসভা নির্বাচন কংগ্রেসের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গত বিধানসভা নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেস গোয়ায় লড়াই করেছিল। কিন্তু কোনও আসনই পায়নি। উল্টে আপ-র থেকেই কম ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বরা একাধিকবার গোয়ায় গেছেন। তাঁরা রীতিমত পাখির চোখ করেছে গোয়াকে। গোয়ার হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদেরও দলের সদস্যপদ দিয়েছিলে। পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদেরও জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। গোয়ার সাফল্যের ওপর তৃণমূলের জাতীয় রাজনীতিতে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠা অনেকটাই নির্ভর করছে।