করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে। গোটা দেশই একটি প্রতিষেধকের অপেক্ষায় রয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়ে দিয়েছেন, সরকার কখনই পুরো দেশের মানুষের টিকাকরণের কথা বলেনি। তিনি আরও বলেন এজাতীয় বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয়ে চর্চা করার আগে সম্পূর্ণ তথ্য হাতে রেখে তবেই আলোচনা করার জরুরি। আরও একবার তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তাঁরা কখনই পুরো দেশের টিকাকরণের কথা বলেনি। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে একথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।
যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপন্থী। কারণ দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, একটি টিকা হাতে এলেই পুরো দেশের মানুষকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তা সরবরাহ করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনও একাধিকবার বলেছেন টিকা বন্টনের রোডম্যাপ তৈরি হচ্ছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকাকরণের কথাও তিনি বলেছেন।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণের বক্তব্যের সপেক্ষে ইন্ডিয়ার কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের ডিজি বলরাম ভার্গব বলেন, টিকা দেওয়ার মূল উদ্দেশ্যই হল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শৃঙ্খলটিকে ভেঙে দেওয়া। অল্প সংখ্যক মানুষকে যদি করোনা টিকা দিয়ে সেই শৃঙ্খল ভাঙা যায় তাহলে দেশের সমস্ত মানুষকে টিকা করণের প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে ঠিক কতজন মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পা নেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে আইসিএমআর-এর পক্ষ থেকে জানান হয়েছে টিকা কর্মসূচি চললেও মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক থাকবে। সংক্রমণ রুখতে মাস্ক অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বঙ্গোপসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে আরও এক ঘূর্ণিঝড়, মৌসম ভবন জানাল ঝড়ের গতিপথ ...
বিজেপির কৃষকপন্থী ভাবমূর্তি কি ধাক্কা খাচ্ছে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক বৃহস্পতিবার ...
কিন্তু আগেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন প্রথম দফায় দেশের ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। আর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেই তালিকায় রয়েছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা, ৫০ বছরের বেশি বয়সের মানুষ ও দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা কোনও না কোনও রোগে আক্রান্ত। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের এই বক্তব্যের পর তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।