একদিকে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ আর অন্যদিকে দিল্লি সীমানা কৃষক আন্দোলন- এই পরিস্থিতিতে আরও একবার কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিল। সারের ভর্তির বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সককার।ডিএপি অর্থাৎ ডিঅ্যামেনিয়াম ফসফেট সারে ভর্তুকি ১৪ শতাংশ বাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারে এই সিদ্ধান্তের ফলে কৃষকরা এবার ৫০০ টাকার পরিবর্তে ডিএপি ব্যাগ প্রতি ১২০০ টাকা ভর্তুকি পাবেন। আর ১২০০ টাকার ব্যাগে ভর্তুকি পাবেন ২৪০০ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিয়েছে তাঁর সরকার কৃষকদের প্রতি দায়বদ্ধ, এই সয়ময় সারের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তাই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারে কৃষকদের পাশে থাকার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে খরচ হবে প্রায় ১৪ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে সারের দাম নিয়ে একটি উচ্চ পর্য়ায়ের বৈঠক হয়। সেখানে তিনি বলেন আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও কৃষকদের পুরনো হারেই সার দেওয়া জরুরি। তিনি আরও বলেন সরকারের এই প্রচেষ্টার মূল ভিত্তিই হল কৃষকদের কল্যাণ। এই বঠকেই আলোচনা হয় আন্তর্জাতিকভাবে ফসফরিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়া ইত্যাদির দাম বাড়ছে। সেই কারণে বাড়ছে সারের দামও। তারপরেও প্রধানমন্ত্রী বলেন আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির পরেও কৃষকদের পুরনো দামেই সার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের ফলে কৃষকরা ব্যাগ প্রতি প্রায় ৫০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা ছাড় পাবেন। যা প্রায় ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেল। আগের দামেই কৃষকদের সার বিক্রি করতে হবে। বর্ধিত দাম কেন্দ্রীয় সরকার দিয়ে দেবে। গতবছর ডিএপির আসল দাম ছিল ব্যাগ প্রচি ১৭০০ টাকা। যার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ভর্তুকিছিল ৫০০ টাকা। সেই কারণেই বিক্রিতা কৃষকদের কাছে ১২০০ টাকায় সার ব্রিক্রি করেছিল।
সম্প্রতি ড্যাপে ব্যবহৃত ফসফরিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়ার আন্তর্জাতিক বাজার দর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বেড়ে গেছে। সেই এক ব্যাগ ডিএপির জাম বর্তমানে ২৪০০ টাকা। যা সার সংস্থাগুলি আগের ভর্তুকি বজায় থাকলে কৃষকদের কাছে ১৯০০ টাকায় বিক্রি করতে পারত। তিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারে সিদ্ধান্তে কৃষকরা এক ব্যাগ ডিএপি পাবেন ১২০০ টাকায়।
কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিবছর রাসায়নিক সারের জন্য ৮০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি হিসেবে ব্যয় করে। এর পাশাপাশি খরিপ মৌসমে ভর্তুকি হিসেবে অতিরিক্ত ১৪ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা ব্যয় করবে। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন পিএম কিষানের অন্তর্গত কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২০,৬৬৭ কোটি টাকাও দেওয়া হয়েছে।