করোনা মহামারির বিপদ এখন তুঙ্গে। এরই মধ্যে নতুন দেশের নতুন আতঙ্ক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক রোগের প্রকোর। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীরাই মূলত এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। মিউকর্মাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগ নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন রাজস্থান প্রশাসন, বুধবার এটিকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছেন। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও স্বাস্থ্য বিভাগ এবিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। রাজস্থানের প্রিন্সিপাল হেল্থ সেক্রেটারি অখিল অরোরা যে নির্দেশিকা জারি করেছেন তাতে বলা হয়েছে করোনাভাইরাসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে শ্লেষ্টা সংক্রমিত রোগীদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি রাজ্যের মহামারি আইন ২০২০২ এর অধীনে রাজ্যে একটি মহামারি ও গুরুত্বপূর্ণ রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রাজস্থানে মহামারি আইনের ২০২০এর অধীরে পুরো রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে একটি মহামারি ও উল্লেখযোগ্য রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি উল্লেখযোগ্য যে, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এই রোগ নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হচ্ছে। তাই করোনা রোগীদের অত্যন্ত সচেতন হওয়া জরুরি। শুধু রাজস্থান নয়, বর্তমানে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।
দিল্লির এইম হাসপাতালের নিউরোলডি ডিপার্টমেন্টের প্রধান চিকিৎসক পদ্মা শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা তিন অঙ্কের বেশি হয়েছে গেচে। এইমস হাসাপাতালে এই রোগের জন্য আলাদা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে ২০ জনের বেশি এই রোগীর চিকিৎসা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সিঙ্গাপুর কোভিড স্ট্রেই নিয়ে রাহুল-কেজরিওয়াল বিভ্রান্ত করার প্রতিযোগিতায় সামিল, বলল বিজেপি ...
গোটা দেশেরই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। ইতিমধ্যেই এই রোগে আক্রান্তদের হাসপাতালগুলিতে শয্যার চাহিদা বেড়েছে। সূত্রের খবর ৪০ জনকে গিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যার মধ্যে ১৬ শয্যা পাননি। যদিও আগে থেকেই দিল্লি সরকার এই রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য একাধিপ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করেছিলেন। এই কমিটির মূল কাজই ছিল এইরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইনজেকশন সরবরহারে ওপর নজরদারি চালানো।
ঘূর্ণীঝড়ের লালচোখ এবার বাংলার দিকে, উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হচ্ছে যশ ...
বিশেষজ্ঞদের মতে ডায়াবেটিস আক্রান্ত করোনা রোগীদের মধ্যেই ব্ল্য়াক ফাঙ্গাস রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। রাজস্থানে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০র বেশি। এই রোগের চিকিৎসার জন্য জয়পুর হাসাপাতালে একটি বিশেষ ওয়ার্ডে খোলা হয়েছে। এই ওয়ার্ডে সমস্ত প্রোটোকল মেনেই চিকিৎসা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে পরিবেশে ছত্রাকজনিত ছত্রাকের সংস্পর্শে এসে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। ছত্রাকটি কাঁটা, স্ক্র্যাপ, বার্ন বা অন্যান্য ধরনের। এটি মূলত ত্বক পিয়ে প্পবেশ করে। আর ত্বকেই বাড়তে থাকে। কোভিড আক্রান্ত রোগীদের এই রোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আকাশপথে Cyclone Tauktae বিধ্বস্ত গুজরাট ও দিউ সফর, প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করলেন ক্ষতিপুরণ ...