তবে কংগ্রেস বারবার বলেছে যে এই যাত্রাকে নির্বাচনের সাথে দেখা উচিত নয়, কারণ এর উদ্দেশ্য দেশকে একত্রিত করা। কিন্তু যে কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষকই এটাকে অদ্ভুত ব্যাখ্যা বলে মনে করছেন।
রাহুল গান্ধী এখন বেজায় ব্যস্ত ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে। এই ফাঁকে প্রতিবেশি রাজ্য গুজরাটে ভোটের দামামায় লাভের গুড় খেয়ে যাচ্ছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন গুজরাটে কংগ্রেসের ভোটে থাবা বসাতে পারে আপ। আগামী ১৬ দিনের মধ্যে গুজরাটে নির্বাচনী প্রচার ২০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সবচেয়ে জোরকদমে চলবে, আর ঠিক সেই সময় মধ্যপ্রদেশে 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র নেতৃত্ব দেবেন রাহুল গান্ধী। এতে ভোটবাক্সে প্রভাব পড়বে কংগ্রেসের এমনই মনে করা হচ্ছে
তবে কংগ্রেস বারবার বলেছে যে এই যাত্রাকে নির্বাচনের সাথে দেখা উচিত নয়, কারণ এর উদ্দেশ্য দেশকে একত্রিত করা। কিন্তু যে কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষকই এটাকে অদ্ভুত ব্যাখ্যা বলে মনে করছেন। কারণ যখন রাজনৈতিক প্রচার জোরকদমে ও গুজরাটে সব দলের নামকরা মুখ একসঙ্গে নিজেদের দলের প্রচার চালাচ্ছেন, তখন রাহুল গান্ধী গুজরাট ছেড়ে পাশের রাজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রচারের মুখ ছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর হাত ধরেই কংগ্রেস ৭৭টি আসন জেতে এবং কঠিন লড়াই করে গেরুয়া শিবিরকে ১০০টি আসনের নীচে নামিয়ে এনেছিল। তবে এবার কংগ্রেস নেতারা অকারণে গুজরাটকে 'ভারত জোড়ো যাত্রা' কর্মসূচি থেকে বাদ দিয়েছেন। রাহুল গান্ধী এমনকি নির্বাচনী প্রচারে হিমাচল প্রদেশেও যাননি এবং মহারাষ্ট্রে যাত্রার নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। যাইহোক, হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি প্রতিভা সিং এর আগে বলেছিলেন যে রাহুল গান্ধী তাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি কিছু সময়ের জন্য হলেও সেরাজ্যে যাবেন।
মুখ্যমন্ত্রী পদে কংগ্রেসের কোনও স্পষ্ট মুখ নেই
কোনও স্পষ্ট মুখ্যমন্ত্রী পদের মুখ না থাকায় এবং রাহুল গান্ধীর অনুপস্থিতিতে কংগ্রেস গুজরাটে দুর্বল বলে মনে হচ্ছে এবং অনেকে হার্দিক প্যাটেলের মতো নেতাদের সাথে পদত্যাগ করার পরে রাজ্যে কংগ্রেসকে নীরব দল বলেই বর্ণনা করছে। আসলে, আম আদমি পার্টি গুজরাটে কংগ্রেসের জমি দখল করার অবস্থানে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। দলের জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘন ঘন রাজ্য সফর করছেন, সমাবেশ ও রোড শো করছেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর মুখও ঘোষণা করেছেন।
AAP রাজ্যে এমন পরিবেশ তৈরি করছে যে গুজরাটিরা এবার কংগ্রেসের বদলে আপকে বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে গুজরাটে ভালো ফল করলেও শতাব্দী প্রাচীন এই দল বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারেনি। কংগ্রেস ২০১৭ সালে তার সেরা সুযোগটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাই, কেজরিওয়ালের দল জোর দিচ্ছে যে AAP-কে এবার সুযোগ দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন
আধার কার্ড নিয়ে কেন্দ্র সরকারের নির্দেশিকা, প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নয়া নিয়ম চালু
আসন্ন গুজরাট নির্বাচনে পদ্ম শিবিরের হয়ে লড়ছেন কারা? একনজরে দেখে নিন ছবি