মোদীর কনভয় দেখতে রাস্তার দুই ধারে ছিল উপচে পড়া ভিড়। প্রচুর মানুষ গড়ো হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই সময়ই বিধান সৌধের কাছে নিজের গাড়ি রানিং বোর্ডে দাঁড় করিয়ে জনতাকে অভ্যর্থনা জানালোন।
চার দিনের দক্ষিণের চার রাজ্য সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সফরের প্রথম দিনেই তাঁকে ঘিরে উত্তেজিত কর্নাটকের বাসিন্দা। আর তিনিও স্থানীয় বাসিন্দাদের ডাকে সাড়া দিয়ে নিরাপত্তার ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে এলেন। মিশে গেলেন স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজেপির নেতা কর্মীদের সঙ্গে। বেঙ্গালুরু শহরে বিধান সৌধের কাছে প্রধানমন্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে যান। থেমে যায় তাঁর কনভয়। দলীয় কর্মীদের উচ্ছ্বাসের পাল্টা তিনিও ভিড়ের সঙ্গে মিশে গিয়ে জনতাকে হাত নেড়ে স্বাগত জানান।
বন্দে ভারত ও ভারত গৌরব কাশী দর্শন ট্রেনের উদ্বোধন করতে তিনি ক্রান্তিবীর সাঙ্গোল্লি রায়না বা কেএসআর স্টেশনে যাচ্ছিলেন প্রধাননন্ত্রী । সেই সময় মোদীর কনভয় দেখতে রাস্তার দুই ধারে ছিল উপচে পড়া ভিড়। প্রচুর মানুষ গড়ো হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই সময়ই বিধান সৌধের কাছে নিজের গাড়ি রানিং বোর্ডে দাঁড় করিয়ে জনতাকে অভ্যর্থনা জানালোন। সেই সময় উত্তেজিত জনতা 'মোদী ' 'মোদী' স্লোগান তুলেছিল।
দুটি দূরপাল্লার ট্রেনের উদ্বোধনের জন্য এদিনই প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছিলেন। তখনই রাস্তার দুইধারের জনস্রোত তাঁকে স্বাগত জানায়। তিনিও ক্রসিং-এ গা়ড়ি থামিয়ে রেখে রাস্তায় নেমে পড়েন। চার মাথার মোড়ে প্রত্যেক দিকে দাঁড়িয়ে থাকা জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। রাস্তার এক দিক থেকে অন্যদিকে চলে যান। কিন্তু প্রোটোকল অনুযায়ী একদন প্রধানমন্ত্রী কখনই নিরাপত্তা উপেক্ষা করে গাড়ি থেকে নামতে পারেন না। কিন্তু এদিন মোদী সেই নিরাপত্তার ঘেরাটোপ সম্পূর্ণ ভেঙে দিয়ে জনতার সঙ্গে মিশে গেলেন।
দুটি ট্রেনের উদ্বোধনের পর মোদীর বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর কেম্পাগৌড়া টার্মিলান ২ উদ্বোধন করবেন। তারপরই তাঁর নাদপ্রভু কেম্পাগৌ়ড়ার মূর্তি উন্মোচনের কথা রয়েছে। ১০৮ ফুট লম্বা এই ব্রোজ্ঞের মূর্তি নির্মিত হয়েছে বেঙ্গালুরু নির্মাণ করেছিলেন ৬০০ বছর আগে।
এছাড়ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। যারমধ্যে রয়েছে, বেঙ্গালুরু শহরের প্রতিষ্ঠাতা নাদপ্রভু কেম্পগৌড়ার ১০৮ ফুটের ব্রোঞ্জ মূর্তি উন্মোচন। প্রধানমন্ত্রী ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যায় বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিলান ২এর উদ্বোধন করবেন। এটিতে অত্যাধুনিক সমস্ত সুবিধে রয়েছে। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তিও রয়েছে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি জনসভাতেও ভাষণ দেবেন। কর্নাটক নির্বাচনের বাকি রয়েছে আর মাত্র পাঁচ মাস। তাই মোদীর এই দাক্ষিণাত্য সফর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও জনতা দল জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু কিছুদিন পরেই বিজেপি সরকারের দখল নেয়। বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছিল। যাইহোক সেই সব অভিযোগ দূরে সরাতেই আগামী নির্বাচনে বিজেপির কাছে একক সংখ্যাগরিষ্ট দল হিসেবে ক্ষমতায় আসা জরুরি। শুধু কর্নাটক নয় এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অন্ধ্র প্রদেশ, তেলাঙ্গনা যাবেন। বিশাখাপত্তনমে ১০.৫০০ কোটি টাকা মূল্যের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। তেলাঙ্গনায় রামগুণ্ডামে আরএফসিএল প্ল্যান্ট পরিদর্শন করবেন। সেখানে ৯৫০০ কোটি টাকা মূল্যের রেল ও সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।