দিল্লি ও পঞ্জাবের পর এবার মদ নীতি নিয়ে সিবিআইএর নজর পশ্চিমবঙ্গের ওপর। উঠছে একটি ফরাসি সংস্থার নাম। পেরনোড রিকার্ড নামের সংস্থাটি মদ তৈরির জন্য বিখ্যাত।
দিল্লি ও পঞ্জাবের পর এবার পশ্চিমবঙ্গ ও তেলাঙ্গানার মদ নীতির ওপর বিশেষ নজর দিচ্ছে সিবিআই। দুই রাজ্যেই তদন্তের জাল বিছাতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। পঞ্জাব ও দিল্লির মত দুই রাজ্যই মদ নীতি প্রয়োগ করেছে। যা প্রায় একই।
দিল্লির মদ নীতি বা লিকার পলিসি নিয়ে তদন্তের সময় সিবিআই দিল্লির অপরাধীদের তেলাঙ্গনা ও পশ্চিমবঙ্গের শাসক সংস্থাগুলির মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছ। পাইকারী বিক্রেতা ও মধ্যস্বত্বভোগী, রাজনীতিবিদ ও আমলাদের পাশাপাশি পেরনোড রিকার্ড নামে একটি সংস্থার নামও উঠে এসেছে। দুই রাজ্যের মদ নীতির খসড়া তৈরিতে ফরাসি মদ প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতা সংস্থা পেরনোড রিকার্ডের নাম রয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর। তাই এবার ইডি ও সিবিআই ফরাসি সংস্থার ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে।
দিল্লিতে এখন প্রত্যাহার করা আবগারি নীতি প্রণয়নে পেরনোড রিকার্ডের ভূমিকা নিয়ে সিবিআই এর তদন্ত সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। পেরনোড রিকার্ড হল দিল্লি, পঞ্জাব, তেলাঙ্গনা ও পশ্চিমবঙ্গের নতুন আবগারি নীতির প্রধান সুবিধেভোগী এই সংস্থা। এই সংস্থার পণ্যগুলি পুরো বাজার নিজেদের দখল করে রেখেছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই-এর মতে দিল্লির অভিযোগপত্রে নাম লেখা রয়েছে মনোজ রাই। এই ব্যক্তি পেরনোড রিকার্ডের প্রধান ব্যক্তি হিসেবে সামনে এসেছিলেন। তিনি সরকারি বৈঠকগুলিতে অংশ নিয়েছিলেন। কোম্পানির জন্য উপকারী নীতি গ্রহণেও গুরুত্ব ছিল তাঁর ভূমিকা।
সিবিআই তদন্তের পর ইডি বৃহস্পতিবার পেরনোড রিকার্ডের দিল্লি অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক বিনয় বাবু ও হায়দরাবাদের অরবিন্দ ফার্মারর ডিরেক্টর ও প্রোমোটার শি শরৎ চন্দ্র রেড্ডিকে গ্রেফতার করেছে।
বিনয়ের কাছে দিল্লির মদ নীতি সংক্রান্ত নথি রয়েছে বলে জানা গেঠে। ইডি বিনয়কে কার্টেলাইজেশনের প্ররোচিত করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। বলেছে, দিল্লিতে কে পাইকারি লাইসেন্স পাবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে ইডি রেড্ডিকে আবগারি নীতি লঙ্ঘন করে ৩২টি পাইকারি জোনের মধ্যে ৯টি ফার্ম নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ এনেছে। অথচ আবগারি নীতি অনুযায়ী একটি সংস্থা দুটির বেশি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে পারে না।
আরও পড়ুনঃ
রাম সেতু মামলায় কেন্দ্রকে চার সপ্তাহের সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট, মার্কিন চ্যানেলে দাবি এটি মানুষের তৈরি