গান্ধীজিকে নাথুরাম গডসে হত্যা করেছিল বলেই সবাই জানে। স্বাধাীন ভারতে প্রথম হত্যায় দায়ে অভিযুক্ত নাথুরাম গডসের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয় এবং সাজা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু গুজরাতের একটি স্কুলের প্রশ্নপত্র দেখে কপালে চোখ উঠেছে পড়ুয়া থেকে অভিভাবক সকলের। প্রশ্ন ছিল, গান্ধীজি কিভাবে আত্মহত্যা করেছিলেন? প্রশ্নটা পড়েই হতবাক হয় পড়ে পড়ুয়ারা। গান্ধীজি আত্মহত্যা করেছিলেন না কি!তাহলে নাথুরাম গডসেকে পুলিশ কেন গ্রেফতার করেছিল?
গুজরাতের সুফালাম শলা বিকাশ সংকুলে অধীনে থাকা একটি স্কুল নবম শ্রেণির একটি পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন করেছে। শুধু এখানেই স্কুলটি থেমে থাকেনি। তারা দ্বাদশ শ্রেণির অন্তর্বতী পরীক্ষায় আরও একটি বিতর্কিত প্রশ্ন করে। দ্বাদশ শ্রেণির প্রশ্নপত্রে রয়েছে, 'এলাকায় মদ বিক্রি বেড়ে গিয়েছে, তার জেরে মদ্যপদের দৌরাত্ম বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে পুলিশকে একটি চিঠি লেখ।' সুফালাম শলা বিকাশ সংকুলে এই প্রশ্নে হতবাক গুজরাতের শিক্ষা পরিষদ। তারা স্কুলটির এই প্রশ্নপত্রের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জনমোহিনী হতে গিয়েই বেহাল অর্থনীতি, মোদী সরকারকে বিঁধে সতর্ক করলেন রাজন
গান্ধি নগরের জেলা শিক্ষা অফিসার ভারত ভাদের জানিয়েছেন, 'স্কুলটি নবম শ্রেণি ও দ্বাদশ শ্রেণির অন্তবর্তী পরীক্ষায় জন্য দুইটি আপত্তিকর প্রশ্ন করেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করেছি। তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই স্কুলটির বিরুদ্ধে আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারব।' তিনি আরও মন্তব্য করেছেন, স্কুলটি গুজরাত সরকারের অধীনে নয়। এই স্কুলটি সুফালাম শলা বিকাশ সংকুলের অধীনে রয়েছে। স্কুলের ম্যানেজমেন্ট এই ধরনের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করে। তাই এখানে গুজরাত শিক্ষা পরিষদের কিছু করার ছিল না।
মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত চার জাতীয় হকি খেলোয়াড়, জখম তিন
জানা গিয়েছে, সুফালাম শলা বিকাশ সংকুল গান্ধীনগরের সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্বঅর্থায়িত একটি প্রতিষ্ঠান। এর অধীনে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সুফালাম শলা বিকাশ সংকুলের এই বিতর্কিত প্রশ্নের বিষয়ে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।