Asianet News Bangla | Published : Apr 15, 2020 7:25 AM IST / Updated: Apr 15 2020, 01:02 PM IST
চিনের উহানে লকডাউন উঠতেই বিয়ের ধুম পড়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজারে যুবক যুবতীর আবেদনে সেখানে ক্র্যাশ করার যোগার ম্যারেজ অ্যাপটির। তবে লকডাউন ওঠা অব্দি আর তর সইল না এদেশের এক যুবকের। নিজের মেক্সিতান বান্ধবীর সাতে এই লকডাউনেই সাত পাকে বাঁধা পড়লেন তিনি। শুধু তাই নিয়ে যুবকের বিয়ের জন্য মাঝরাতেই খুলল স্থানীয় আদালত। ঘটনাস্থল হরিয়ানার রোহতক।
২০১৭ সালে ল্যাঙ্গুয়েজ লার্নিং অ্যাপের মাধ্যমে ডানা জোহেরি অলিভেপাস ক্রুইসের সঙ্গে আলাপ হয় রোহতকের যুবক নীরঞ্জন কাশ্যপের। ধীরে ধীরে সেই আলাপ পর্যবসিত হয় ভালবাসায়। গত বছর দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নেন। কিন্তু ডানার বাড়ি সেই সুদূর মেক্সিকোয়। কিন্তু ভালবাসার কাছে দূরত্ব আর কবে বাধা হয়েছে। রোহতকের সূর্য কলোনির বাসিন্দা নীরঞ্জনকে বিয়ে করতে সোজা ভারতে চলে আসেন ডানা। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ের আবেদনও জানান যুগল।
নীরঞ্জন জানান, " আমার জন্মদিন পালন করতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি মাকে নিয়ে মেক্সিকো থেকে ভারতে এসেছিল ডানা। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি আমরা স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়ের জন্য আবেদন জানাই। এর জন্য এক মাসের নোটিশ দিতে হয়।"
নীরঞ্জন আরও জানান, "সেই নোটিসের সময় শেষ হয় ১৮ মার্চ। ততিদনে হরিয়ানায় লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই আমরা বিয়ে করতে পারছিলাম না। এর পরেই আমরা জেলাশাসকের দরবারে আবেদন জানাই।"
জেলা শাসকের প্রচেষ্টাতেই অবশেষে সব বাধা পেরিয়ে নীরঞ্জন ও ডানা একসঙ্গে বিবাহ বন্ধেন আবন্ধ হন। ১৩ মার্চ তাঁদের জন্য বিশেষ ভাবে খোলা হয় জেলাশাসকের আদালত। নীরঞ্জনের বাবা জানান, বিয়ের পর গত ২৪ মার্চ মেক্সিকোয় ফিরে যাওয়ার কথা ছিল ডানার। কিন্তু লকডাউনের কারণে আপাতত ভারতেই রয়েছেন তিনি। আগামী ৫ মে ফেরার টিকিট কেটেছেন ডানা।
লকডাউনের বাজারেও নিজের প্রিয় মানুষকে বিয়ে করতে পেরে খুশি ডানাও। কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান না হলেও আক্ষেপ নেই তরুণীর। তাঁর কথায়, " ২০১৭ সালে আমাদের আলাপ। এর আগেও আমি একবার ভারতে এসেছি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বাগদানের পর আমি ফের দেশে ফিরে গিয়েছিলাম। প্রায় ২ বছর পর ফের আমাদের দেখ হল। লকডাউনের জন্য আমাদের বিয়ে প্রায় আটকে যেতে বসেছিল। তবে স্থানীয় প্রশাসন সাহায্য করাতেই এই অসম্ভব সম্ভব হতে পেরেছে।"
তবে আইনি বিয়ে হলেও আদালতে সকলের মধ্যে বজায় ছিল সামাজিক দূরত্ব। এমনকি বর-কনে বিয়ের পর একসঙ্গে ছবি না তুলে বজায় রেখেছিলেন নির্দিষ্ট দূরত্ব।