
হরিয়ানার পানিপথের একটি স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের 'কালমা' শেখানোর অভিযোগে বিতর্কের সৃষ্টি। অভিযোগ, সরস্বতী বিদ্যা মন্দিরের অষ্টম শ্রেণির এক ক্লাসে ওই সংস্কৃত শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীদের ইসলাম ধর্মের কালমা পড়ানো শেখাচ্ছিলেন। বাড়ি ফিরে ছাত্র-ছাত্রীরা কালমা পড়তে থাকলে বিষয়টি অভিভাবকদের নজরে আসে।
মাজীব আনসারি, নামে ঐ সংস্কৃত শিক্ষিকা, যিনি স্কুলে 'মাহী' নামে পরিচিত, একজন সংস্কৃত শিক্ষিকা হিসেবে ওই ক্লাসে পড়াচ্ছিলেন। পড়ানোর সময় শ্রেণিকক্ষে ছাত্রছাত্রীদের কালমার একটি লাইনও শেখান তিনি।
বিষয়টি অভিভাবকদের নজরে আসলে উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা শনিবার স্কুলে গিয়ে সরাসরি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানায় এবং বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদও জানান তারা। সম্ভাব্য উত্তেজনার আশঙ্কায় তারা পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিটিং ডাকা হয়। মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন মাহী নামের ওই শিক্ষিকা, অষ্টম শ্রেণীর অভিভাবকগণ এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। বিষয়টির গম্ভীরতা বুঝতে পেরে, শিক্ষিকা আগেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক ও শিক্ষিকার মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর, অভিভাবকদের দাবি অনুযায়ী, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দু ওই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করেন সেদিনই। তবে প্রধান শিক্ষিকা ইন্দুর দাবি অনুযায়ী, মাজীব আনসারি স্কুলে প্রায় এক বছর ধরে সংস্কৃত শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ছাত্রছাত্রীরা জানতে চেয়েছিল ইসলাম ধর্মে কি এমন কিছু আছে যা হিন্দুদের আরতি বা হনুমান চালিসার মতো। সেই কৌতূহল মেটাতে এবং প্রসঙ্গ বিশেষে তিনি কালমার একটি লাইন ছাত্র-ছাত্রীদের শেখান।
‘মাহী’ নাম ব্যবহারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রধান শিক্ষিকা জানান, শিক্ষিকার আসল নাম দীর্ঘ ও জটিল হওয়ায় সহজে ডাকতে সুবিধার জন্য ‘মাহী’ নামটি ব্যবহার করা হত। স্কুল রেজিস্টারে তার পূর্ণ নাম সঠিকভাবেই লিপিবদ্ধ আছে বলে আশ্বস্ত করেন অভিভাবকদের।