রোগীর পরিবারের হাতে মার খাওয়ার অভিযোগ ওখানেও কিছু কম নয়। তাই হাসপাতালে ডাক্তারদের নিরাপত্তায় হরিয়ানা সরকার নিয়োগ করতে চলেছে ১৬৫২জন হোমগার্ড।
প্রসঙ্গত, গতবছর এনআরএসে এক রোগী মারা গেলে ডাক্তারদের সঙ্গে গোলমাল বাধে। দুটি ম্য়াটাডোর ভরতি লোক এসে জুনিয়র ডাক্তারদের ব্য়াপক মারধর করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবহ মুখোপাধ্য়ায়কে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়। ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়ার ডাক্তারদের ধর্মঘট শুরু হয়। তাঁদের সমর্থনে এগিয়ে আসেন বিদ্বজ্জনেরাও। যা এনআরএস থেকে ছড়িয়ে পড়ে রাজ্য়জুড়ে। সপ্তাখানেক পর মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে ধর্মঘট তুলে নেন জুনিয়ার ডাক্তাররা।
যদিও ডাক্তারদের এই নিরাপত্তার সমস্য়া যে কেবল এ রাজ্য়েরই, তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন রাজ্য় থেকেও নানাভাবে চিকিৎসক নিগ্রহের খবর আসতে থাকে। আর সেখানে বারেবারেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। তাই হরিয়ানা সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন এখানকার চিকিৎসকরাও। হরিয়ানাতেও সম্প্রতি ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে বারংবার। শুক্রবার রাজ্য়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ ঘোষণা করেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে রাজ্য়ের সমস্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্য়কেন্দ্র, কমিউনিটি হেলথ সেন্টার আর জেলা হাসপাতালে মোট ১৬৫২জন হোমগার্ড নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেইসঙ্গে তিনি জানান, রাজ্য় সরকার ইতিমধ্য়েই হাসপাতালগুলোতে আরও ভালভাবে নজরদারির জন্য় অতিরিক্ত সিসিটিভির অর্ডার দিয়েছে। ভিজ বলেন, ডাক্তারি এক মহৎ পেশা। তাই ডাক্তারদের ওপর বেড়ে চলা আক্রমণের ঘটনায় রাজ্য় সরকার উদ্বিগ্ন।
এর আগে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীদের রাখা হয়েছিল হরিয়ানার সরকারি হাসপাতালগুলোতে। কিন্তু তাতে করে ডাক্তারদের ওপর মারধর বা হামলার ঘটনা কমানো যায়নি। বরং তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত। আশা করা হচ্ছে, ১৬৫২জন হোমগার্ড নিয়োগের পর চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় কিছুটা রাশ টানা যাবে।