করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই অবস্থায় মরাষ্ট্রারের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধভ ঠাকরে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজলিওয়াল ও ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন দাবি তুলছিলেন সব বসয়ের নাগরিকদেরও করোনাভাইরাসের টিকা দিতে হবে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে চাইবে তাঁকেই টিকা দেওয়া হবে হবে না। যাঁদের প্রয়োজন তাঁদেরই টিকা দেওয়া হবে। যাঁদের ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বেশি তাঁদেরই প্রথম টিকা দেওয়া হবে। তিনি বলেন টিকা প্রক্রিয়া রাষ্ট্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাই সরবরাহের ব্যবস্থা দেখেই টিকা প্রদান কার মডেলটি তৈরি করা হয়েছে।
রাজেশ ভূষণের কথায় প্রথমেই নজর রাখতে হবে দেশের টিকাকরণ কর্মসূচির ওপর। টিকাকরণের প্রাথমিক লক্ষ্যই হল মৃত্যুর হার কমানো। তাই কখনও গুরুত্ব দেওয়া যাবে না তার বাইরের মানুষদের। তিনি আরও বলেন তৃতীয় পর্যায়ে এসে ভ্যাকসিন সাপলাইও কিছুটা হলেও সীমাবদ্ধ হয়েছে। যখন সকলকে একসঙ্গে টিকা প্রদান করা হয় তাহলে মহামির রুখতে তা কার্যকর হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনেই কাজ করা হচ্ছে।
টিকার সরবরাহ ও চাহিদা দেখেই একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। টিকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যের মধ্যে যা টানাপোড়েন শুরু হয়েছে তারও উত্তর দেন রাজেশ ভূষণ। তিনি বলেন আমাদের দেশে টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়ন্ত্রিত হয় রাজ্য সরকারের দ্বারা। টিকাকরণ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারগুলির মধ্যে একাধিক বৈঠকও হয়েছএ। কোনও রাজ্য যদি সাতদিনই টিকা সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে টিকাকরণ কর্মসূচি চালাতে চায় তারও অমুমোদন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকেও কেন্দ্রীয় সরকার সহযোগিতা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিন এনএনআই-এর তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিল, অনেকেই অভিযোগ করেন যে ভারত বিদেশি টিকাগুলিকে অনুমোদন দিতে চাইছে কিনা। তার উত্তরে রাজেশ ভূষণ বলেন, ভারত একাধিক টিকা নিয়ে কাজ করছে। টিকা তৈরিও করছে।তাই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির পাশেও দাঁড়িয়েছে। তাই এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হল মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশের নাগরিকদের প্রাণ রক্ষা করা।