অতিমারির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে অতিবৃষ্টি, একই বছরে তৃতীয়বারের জন্য বানভাসী এই রাজ্য

  • নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি অসমে
  • বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র
  • ৯টি জেলা রয়েছে জলের তলায় 
  • বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা 

Asianet News Bangla | Published : Sep 27, 2020 9:09 PM IST

অতিমারির সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে অতিবৃষ্টি। আর সেই কারণেই করোনাভাইরাসের এই সমক্রমণের সময়ই আবারও নতুন করে বানভাসী হল অসম।  গত কয়েক দিন ধরেই লগাতার বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত উত্তর পূর্ব ভারতের এই গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যটি। ২ লক্ষ ২৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন। যারমধ্যে দেড় লক্ষ মানুষই নওগাঁর কামপুর এলাকার বাসিন্দা। নতুন বলে বন্যা পরিস্থিতির কারণে  ৯টি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। চলতি বছর বর্ষার মরসুমে এই নিয়ে তিনবার বন্যা পরিস্তিতি তৈরি হল অসমে। 

জোরহাট, তেজপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র। গত শনিবারই বৃষ্টির কারণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরে অতিবৃষ্টি ১১৮ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ডিমাজি, লাখিমপুর, মাজুলিসহ বেশ কয়েকটি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা রয়েছে জলের তলায়। ইতিমধ্যেই নষ্ট হয়েছে ১০ হাজার হেক্টর জমির শস্য। বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২১৯টি গ্রাম। বেশ কয়েকটি এলাকায় পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই ৪৩টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার আশ্রয় দেওয়া হয়েছে ত্রাণ শিবিরগুলিতে। খাবার,জল ও ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

গত সপ্তাহে প্রতিবেশী রাজ্য মেঘালয়াতে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় হড়পাবানের কারণে প্রতিকূলতার মধ্যে পড়তে হয়েছে স্থানীয়দের। সেখানে মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জনের। তবে এখুনি প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী দুদিন উত্তর ভারতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে। চলতি বছরে ২৬ সেপ্টেম্বর বর্ষার মরশুম শেষ হওয়ার কথা। এটি সম্ভবত মৌমুমী বায়ু বিদায় নেওয়ার বৃষ্টি। চলতি বছে গোটা দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছে। ২০টি রাজ্যে স্বাভাবিক বৃষ্টি হলেও ৯টি  রাজ্যে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান হয়েছে। 

Share this article
click me!