'আমার ৪৪ দিনের বকেয়া মজুরি পেতে আমাকে সাহায্য করুন।' প্রজাতন্ত্র দিসবের কুচকাওয়াজ দেখতে আসা এক মালি জানিয়েছেন তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কিছু বলতে চান তাহলে তিনি এই কথাটাই বলবেন।
'আমার ৪৪ দিনের বকেয়া মজুরি পেতে আমাকে সাহায্য করুন।' প্রজাতন্ত্র দিসবের কুচকাওয়াজ দেখতে আসা এক মালি জানিয়েছেন তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কিছু বলতে চান তাহলে তিনি এই কথাটাই বলবেন। তাঁর নাম সুখ নন্দন। তিনি সাধারণত দিবসের অনুষ্ঠান দেখার জন্য বিশেষ আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন।
সেন্ট্রাল ভিস্তা, ইন্ডিয়ার গেটের আশপাশ এলাকা ও কর্তব্যপথ রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যুক্ত বেশি কিছু শ্রমিকদের প্যারেড দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল। তাঁদের বিশেষ পাশ দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু যেখানে বসেছিলেন তার উল্টো দিকেই বসেছিলেন তাঁরা। মোদী তাঁদের দিকে হাত নাড়তে নাড়তে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এত কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দেখে তিনি রীতিমত উৎসাহিত আর উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে দেখা তাঁর কাছে সৌভাগ্য বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে তিনি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করছেন। তিনি এত কাছ থেকে কোনও দিন প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে পাবেন তা ভাবেননি।
যাইহোক তারপরই তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি মোদীকে যদি কিছু বলতে চান তাহলে কী বলবেন। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে ইন্ডিয়া গেটের কাছে অস্থায়ী তাঁবুতে থাকেন। তিনি বলেন তিনি মালির কাজ করেন। কিন্তু আগের ঠিকাদারের কাছে যেখানে কাজ করতেন সেখানে ৪৪ দিনের কাজের টাকা পাননি। তাঁকে দেওয়া হয়নি। সেই প্রাপ্য পেতেই তিনি প্রধানমন্ত্রী সাহায্য চান। তিনি বলেন, ঠিকাদার তাঁর প্রাপ্য বেতন দিতে রাজি নয়। কিন্তু তাঁর কাছে কাজে উপস্থিত থাকার সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু সেই ঠিকাদার তার টাকা বকেয়া টাকা দিতে চাইছেন না। সেই টাকাই ফেরত চান তিনি।
নন্দনের মত স্থানীয় মিউনিসিপ্যাল সংস্থাগুলি বাগান কর্মী বা ঠিকা শ্রমিকদের মাসে ১৪ হাজার ৫৮৬ টাকা দেয়। সেই হিসেবে নন্দনের বকেয়া ৬ হাজার টাকার বেশি। সেই টাকাই ফেরত চান নন্দন। তবে নন্দনের অভিযোগ তার বকেয়া ২১ হাজার টাকা। কারণ আগের ঠিকাদার তাঁর বেশ কিছু কাজের সামগ্রীও আটকে রেখে দিয়েছে। সেগুলিও ফিরত দিচ্ছে না।