৪৫ বছরের রিকশাচালক রাজকুমার, আলিগড়ের বাসিন্দা। সন্তান বিক্রির প্ল্যাকার্ড নিয়ে ফুটপাথেই বসে পড়েন। প্ল্যাকার্ডে অপটু হাতে হিন্দিতে লেখা রয়েছে সন্তান বিক্রি রয়েছে।
ঋণদেনা করে সামান্য জমি কিনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই ঋণ যে গলায় ফাঁস হয়ে যাবে তা তিনি নিজেও স্বপ্নে ভাবতে পারেননি। জমিতো কিনতে পারেননি উল্টে ঋণের দায় সন্তান বিক্রির মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঋণ মেটাতে অসহায় বাবা অবশেষ সন্তান বিক্রির প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলে বসে পড়লেন রাস্তায়। যোগী রাজ্যে এমন হাহাকারের ছবি উঠে আসায় অনেকেই চমকে গিয়েছেন।
৪৫ বছরের রিকশাচালক রাজকুমার, আলিগড়ের বাসিন্দা। সন্তান বিক্রির প্ল্যাকার্ড নিয়ে ফুটপাথেই বসে পড়েন। প্ল্যাকার্ডে অপটু হাতে হিন্দিতে লেখা রয়েছে সন্তান বিক্রি রয়েছে। তিনি তাঁর সন্তান বিক্রি করে ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পেতে চান তাও লেখা রয়েছে। রাজকুমার তাঁর সন্তানকে মাত্র ৫-৬ লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে চান। ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে রাজকুমার ঋণ শোধ করতে না পারায় তাঁর সন্তানদের সামনেই তাঁকে আর্থিক তছরুপের অপবাদ নিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যাদের থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তাঁরা বাড়ি থেকে উৎখাত করারও হুমকি দিয়েছে। অসহায় হয়েই রাজকুমার সন্তান বিক্রির মক বেআইনি আর কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যাইহোক রাজকুমার জানিয়েছেন, জমি কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। রাজকুমারের অভিযোগ যে মহাজনের কাছ থেকে জমি কেনার জন্য ঋণ নিয়েছিলেন সে পিছন থেকে এমন কলকাঠি নাড়ে যে জমি কেনা হয় না। কিছু টাকা জলেও যায়। তারপরেও ৬ হাজার টাকা ঋণও পরিশোধ করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন টাকা ফেরতের জন্য তাঁর একমাত্র ভরসা হল ই-রিকশা। কিন্তু সেটিও মহাজন ছিনিয়ে নিয়েছেন। গোটা পরিবার নিয়ে অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটছে তাঁর।
যাইহোক রাজকুমারের সন্তান বিক্রির খবর পুলিশের কানে যেতেই নড়ে চড়ে বসেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত মহাজনকে। রাজকুমারকেও ছেলে বিক্রি থেকে বিরত রাখা হয়েছে।