হিমাচল প্রদেশের রেকর্ড ভোট পড়েছে। ৭৫.৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে দুন বিধানসভা কেন্দ্রে। সবথেকে কম ভোট পড়েছে সিমলায়।
রেকর্ড ভোটদান হয়েছে হিমাচল প্রদেশে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পাহাড়ি রাজ্যে ৭৫.৬ শতাংশ ভোটদান হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার , 'রাজ্যের সদর দফতর প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুসারে রাজ্যে আনুমানিক ভোটের শতাংশ ৭৫.৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।'
নির্বাচন কমিশন প্রাপ্ত ভোটের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বলেছেন ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোট পড়েছে ৭৪.৬ শতাংশ। পাশাপাশি পোস্টাল ব্যালটের ১ শতাংশ ইতিমধ্যেই গৃহীত হয়েছে। যার কারণে মোট ভোট হয়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি। পোস্টাল ব্যালটের দুই শতাংশ এখনও পর্যন্ত হাতে আসা বাকি রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দুন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে। এই কেন্দ্রের ভোটের হার ৮৫.২৫ শতাংশ। তবে সবথেকে কম ভোট পড়েছে সিমলা বিধানসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে ভোটের হার ৬২.৫৩ শতাংশ। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ছিল ২৭,৮৮,৯২৫ জন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ২৭,৩৬,৩০৬। হিমাচল প্রদেশে তৃতীয় লিঙ্গের ৩৮ জন ভোট দিয়েছেন।
সিইও গর্গ বলেছেন, স্ট্রংরুমগুলিকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়ে সুল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক ও প্রার্থী বা তাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সিল করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৪ অক্টোবর নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকে ৬০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ২০১৭ সালে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ১০ কোটি টাকা। ১২ নভেম্বর এই রাজ্যে ভোট গ্রহণ হয়। ফল প্রকাশ আগামী ৮ ডিসেম্বর। গুজরাট বিধানসভার নির্বাচনের সঙ্গে।
৬৮ আসনের হিমাচল বিধানভোটে বিজেপি ও কংগ্রেস দুটি রাজনৈতিক দলেরই কাছেই অগ্নিপরীক্ষা। কারণ এই রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতে মহিলা কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপি দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জোরদার প্রচার করেছেন। ভোটের আগে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন কর্মসূচি তাঁর। এদিন উনা স্টেশনে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বাগত জানান বহু মানুষ। তাঁর মোদীর পাশাপাশি জয় শ্রীরাম স্লোগানও তোলেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উনা-দিল্লি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করেন। প্রথমবার ভারতীয় রেলওয়ে অনেক উন্নত বৈশিষ্ট্য এবং উন্নত নিরাপত্তা সহ বন্দে ভারত 2.0 ট্রেন ব্যবহার করেছিল। অন্যদিকে হিমাচলের নির্বাচনে প্রচার করেননি রাহুল গান্ধী। তিনি ব্যস্ত ভারত জোড়ো যাত্রায়। প্রচারে সামনের সারিতে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।