ধসে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। পাহাড় ধসে বন্ধ চন্দ্রভাগা নদীর গতিপথ। প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর।
ভূমিধস আর বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। শুক্রবার সকালে নতুন করে ধস নামে। তাতেই বন্ধ হয়ে গেছে চন্দ্রভাগা নদীর গতিপথ। লাহাল-স্পিতি এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি হয়েছে। নদীর গতিপথ আটকে যাওয়ায় দুটি গ্রামের ঘরবাড়ি আর চাষের জমি প্লাবিত হয়েছে। বিপদের আশঙ্কা করে এই এলাকার একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের আগেভাগেই সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে ১৩টি গ্রাম থেকে ২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রবল ধসের কারণে নদীর জলপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। একটি হ্রদও তৈরি হয়ে যায়। সেখান থেকেই জল উপছে পড়ে ভাসিয়ে দিচ্ছে আসপাশের গ্রামগুলি। এখনও পর্যন্ত কোনও মানুষের মৃত্যু হয়নি। তবে ১৬ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ের বেশ কিছুটা অংশ ভেঙে গিয়ে সরাসরি চন্দ্রভাগা নদীর গতিপথ অবরুদ্ধ করে দিয়েছে। নদীর পথ জুড়ে রয়েছে পাথর আর ধুলো। যাতেই আটকে গেছে নদীর গতিপথ।
গজনির পর কান্দাহারে পা তালিবানদের, আফগানিস্তানে ক্রমশই জমি হারাচ্ছেন আশরাফ ঘানি
Crime News: দাদুকে দুমড়ে মুচড়ে ফ্রিজে রেখেছিল নাতি, নজর কি শুধুই পেনশনের টাকা
Covishield-Covaxin মিশিয়ে দিলে ফল হিতে বিপরীত হতে পারে, সতর্ক করলেন সাইরাস পুনাওয়ালা
রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুদেশ কুমার মোক্তা জানিয়েছে, আগাম সতর্কামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে বর্ষার কারণে নদীতে জল বাড়ছে। ইতিমধ্যেই চন্দ্রভাগা নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে তারং আর জসরাত গ্রামে। চারটি বাড়ি ভেঙে গেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন উদয়পুর মহকুমার নালদা আর জসরতের মধ্যবর্তী জাহালমান গ্রামের কাছে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে চন্দ্রভাগা নদীর গতিপথ। কয়েক বিধা কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে গ্রামবাসীদের গবাদি পশুগুলিও।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সমীক্ষক দল মাটি পরীক্ষা করেছে। তবে বর্তমানে ভূমি ধসের ওপর দিয়েই নতুন করে বয়ে চলেছে চন্দ্রভাগা নদীর জল। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর জানিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তাঁকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। তবে নদীর গতিপথ ধীরে ধীরে খুলে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।