
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে দড়ি টানাটানি এখনও অব্যাহত। যদিও নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়করা একটি বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে আইনসভায় দলের নেতা বাছাইয়ের জন্য দলের সভাপতিকেই অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত রয়েছে।
সকাল থেকেই কংগ্রেসের নতুন বিধায়করা সিমলার সেসিল হোটেলের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কথা ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডাকে ঘিরে রেখেছিলেন। যাতে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পরেও মুখ্যমন্ত্রী বাছতে রীতিমত কালঘাম ছুটছে কংগ্রেসের। রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান তথা বীরভদ্র সিং-এর স্ত্রী প্রতিভা সিং, বিদায়ী বিধানসভায় কংগ্রেসের নেতা মুকেশ অগ্নিহোত্রী, নির্বাচনী প্রচার কমিটির প্রধান সুখবিন্দর সিং সুখু- তিন জনের মধ্যেই দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। যদিও প্রত্যেকেই প্রকাশ্যে জানাচ্ছেন কংগ্রেসের হাইকমান্ড যা সিদ্ধান্ত নেবে তা তারা মেনে নেবে। কিন্তু প্রত্যেকেরই অনুগামীরা রীতিমত বিক্ষোভ অবস্থানের পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে।
এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব দ্বারস্থ হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রর। কারণ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী হিমাচলের নির্বাচনে প্রথম সারিতে ছিলেন। একের পর এক সভা আর মিছিল করেছিলেন। হিমাচল প্রদেশের জেতার কৃতিত্বও কংগ্রেস নেতারা প্রিয়াঙ্কাকেই দিচ্ছেন। সূত্রের খবর বিদ্রোহ সামাল দিতে হিমাচল প্রদেশেরে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতে পারেন প্রিয়াঙ্কা। এদিনই সম্ভবত প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতে পারেন।
হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার মোট অসনসংখ্যা ৬৮টি। কংগ্রেস পেয়েছে ৪০টি আসন। বিজেপির কাছে থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে কংগ্রেস। এদিনই বিধায়কদের বৈঠকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম বাছাইয়ের পাশাপাশি আইনসভায় দলের নেতাও বাছাই করা হবে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। পার্টির রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা উপস্থিতিতেই এই প্রস্তাব পাশ হতে পারে। কংগ্রেস পর্যবেক্ষকদের মধ্যে রয়েছে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলা, হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুডা, হিমাচল প্রদেশের এআইসিসির ইনচার্জ রাজীব শুক্লা। তাঁরাই এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। দলের বিজয়ী প্রার্থীদের একটি তালিকাও জমা দিয়েছেন। এই প্রতিনিধি দলের অংশ ছিলেন করণ সিং দালাল। তিনি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, রাজ্যপালের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আরও কিছুটা সময় তাঁরা চেয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছেন। আর সেই কারণে কংগ্রেসই রাজ্য সরকার গঠন করবে।
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে কংগ্রেস পর্যবেক্ষকদের রীতিমত বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কারণ প্রতিভা সিং ও তাঁর অনুগামীরা কংগ্রেস পর্যবেক্ষকদের গাড়ি আটকে রেখে দেয়। প্রতিভা সিং-এর নামে স্লোগানও দেয় তার অনুগামীরা। কংগ্রেস কার্যালয়ের বাইরেও এজাতীয় স্লোগান ওঠে। কংগ্রেস সূত্রের খবর নতুন বিধায়কদের সঙ্গে এদিন সন্ধ্যেবেলা আলোচনা গবে। দূরের বিধায়কদের সিমলা পৌঁছাতে সময় লাগবে। তবে কংগ্রেস পর্যবেক্ষকরা ইতিমধ্যেই আলাদা করে স্থানীয় একটি হোটেলে প্রতিভা সিং-এর সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রতিভা সিংএর বয়স ৬৬। তাঁর একটি ছেলেও রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
জিতেও স্বস্তি নেই কংগ্রেস শিবিরে, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু
গুজরাট বিধানসভার ১৮২ আসনে মুসলিম বিধায়ক এক জন, কংগ্রেসের টিকিটে জেতা প্রার্থী সংখ্যালঘু প্রতিনিধি
দ্বিতীয় গ্রেফতারিতে জামিন পেলেন সতেক গোখলে, ১৫ হাজার টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন