আইএনএস বিক্রান্তের ডেকে স্থান পেল ফরাসি যুদ্ধবিমান রাফাল এম ফাইটার

আইএনএস বিক্রান্তের ডেকে স্থান পেল ফরাসি যুদ্ধবিমান রাফাল এম ফাইটার।নৌবাহিনীর এক আধিকারিক বলেন, 'আমাদের নৌবাহিনীর যা চাহিদা, তার জন্য রাফালই সবচেয়ে উপযুক্ত

Web Desk - ANB | Published : Dec 9, 2022 9:16 PM IST

ভারতের তৈরি প্রথম রণতরী। তাতে কোন যুদ্ধবিমান থাকবে? ফরাসি না মার্কিন? বৃহস্পতিবার জোরদার টক্করের পর মিলল সেই উত্তর। আইএনএস বিক্রান্তের ডেকে স্থান পেল ফরাসি যুদ্ধবিমান রাফাল এম ফাইটার। সরাসরি প্রতিযোগিতায় কিছুটা কম নম্বর পেয়ে সুযোগ হারিয়েছে মার্কিন এফ এ-১৮ সুপার হরনেট। নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এবার ২৬টি রাফালে সেজে উঠবে।

চলতি বছর জানুয়ারি এবং জুনে গোয়া উপকূলের পরীক্ষা কেন্দ্রে ভারতীয় নৌবাহিনীকে তাদের বিমানের সক্ষমতা প্রদর্শন করতে হয়েছিল । নৌবাহিনী দুই যুদ্ধবিমানেরই ট্রায়াল রিপোর্ট তৈরি করে। সেটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে জমা দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নৌবাহিনীর এক আধিকারিক বলেন, 'আমাদের নৌবাহিনীর যা চাহিদা, তার জন্য রাফালই সবচেয়ে উপযুক্ত ।' ভারতীয় বিমান বাহিনীতে ইতিমধ্যেই রাফাল ফাইটারের দু'টি স্কোয়াড্রন রয়েছে। ফলে নৌবাহিনী যদি সেই একই ফাইটারের নেভি ভার্সানের অর্ডার দেয়, সেক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে আগে থেকে প্রস্তুত থাকা যাবে। এই নৌবাহিনীর ভার্সানটি বিমানবাহিনীর ভার্সানের সঙ্গে প্রায় ৮৫% একইরকম

অবশ্য ভারত নিজস্ব যুদ্ধবিমান তৈরির বিষয়েও কাজ করছে। নৌবাহিনী বিশেষ যুদ্ধবিমানের নকশা এবং তৈরির জন্য একটি খসড়া ক্যাবিনেট নোট তৈরি করা হয়েছে । নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার গত সপ্তাহে এমনটা জানান।

নৌবাহিনীর এই প্রথম প্রোটোটাইপ যুদ্ধবিমান আগামি ২০২৬ সাল নাগাদ তৈরি হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর ২০৩২ সাল নাগাদ পুরোদমে এই বিমানের উৎপাদন শুরু হতে পারে ভারতবর্ষে । নৌবাহিনীর এই প্রকল্পে প্রতিরক্ষা গবেষণা উন্নয়ন সংস্থা এবং অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি একসঙ্গে কাজ করছে। তবে যত দ্রুতই ছাড়পত্র মিলুক না কেন, বিমান তৈরি হতে হতে এখনও প্রায় ১০ বছর। ফলে আপাতত বিদেশি যুদ্ধবিমানেই কাজ চালাতে হবে ভারতকে।

 

Share this article
click me!