মন্দিরে পুজো দিতে এসে আত বাড়ি ফেরা হল না বিনোদের পরিবারের। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মন্দিরের নীচেই চাপা পরে যায় বিনোদের দাদার পরিবারের পাঁচ সদস্য।
ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়ে পরিবারের তিন প্রজন্ম। মন্দিরে পুজো দিতে এসে আত বাড়ি ফেরা হল না বিনোদের পরিবারের। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মন্দিরের নীচেই চাপা পরে যায় বিনোদের দাদার পরিবারের পাঁচ সদস্য। গত সোমবার স্ত্রী, পুত্র, নাতি, নাতনিদের নিয়ে শিমলার সামার হিলের শিব বাওয়ারি মন্দিরে এসেছিলেন বৃদ্ধ পবন। সেই সময়ই ঘতে এই অঘটন। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মাটির নীচে ধসে যায় মন্দিরের একাংশ। সেইখানেই চাপা পরে যায় এই পরিবারের তিন প্রজন্ম। ইতিমধ্যেই পবনের পরিবারের পাঁচ সদস্যের দেহ উদ্ধার হয়েছে। দু'জন এখনও নিখোঁজ। তাঁদের বেঁচে থাকার আশাও করেন না বিনোদ। শুধু দাদার পরিবারের সকলের দেহ অন্তত বাড়ি নিয়ে যেতে চান তিনি। সকলের শেষকৃত্য যেন ভাল ভাবে করতে পারেন এটাই তাঁর শেষ আশা।
দাদার পরিবারের নিখোঁজ দুই সদস্যের হদিস পেতে মরিয়া বিনোদ। ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন দুর্ঘটনাস্থলেই। কোনও মৃত দেহ উদ্ধারের খবর এলেই ছুটে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ সময়ই ফিরতে হচ্ছে নিরাশ হয়। কাঁদতে কাঁদতে বিনোদ একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,'তিন শিশু-সহ আমার দাদার পরিবারের পাঁচ জন মারা গিয়েছেন। উদ্ধারকারীরা বাকি দু’জনের দেহ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। আমি দাদা ও ওঁর পরিবারের সকলের শেষ কৃত্য ভালোভাবে করতে চাই।'
কয়েক দিন ধরেই হিমাচল আর উত্তরাখণ্ডে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। যার জেরে ঘটছে ভূমিধসের মত ঘটনা। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার হিমাচল প্রদেশে সমস্ত স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিন সন্ধ্যেবেলা নতুন করে সিমলায় ধস নামে। তাতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মৌসম ভবন জানিয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টা হিমাচলের ১২টি জেলা ও উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। দুই রাজ্যের জন্যই লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে পশ্তিমঝঞ্ঝা আরব সাগর থেকে আসা দক্ষিণ মৌসুমী বায়ুর কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টা হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দিতে পারে। আগামী ১৮ অগাস্ট পর্যন্ত দুই রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি বছর হিমাচলে মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটেছে ১৭০টি। গতমাসেই বৃষ্টির কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৩০ জনের। হিমাচলে এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিকের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।