প্রশ্ন উঠেছে ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে কাদের কাছে ঠিক কত টাকার সম্পদ রয়েছে? যদিও এই বিষয়ে কোনও সাম্প্রতিক তথ্য নেই। তবে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ দলিত স্টাডিজের পক্ষ থেকে ICSSR-এর যৌথভাবে করা একটি সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্য রয়েছে।
কংগ্রেসের প্রকাশিত ইস্তেহার নিয়ে দিন কয়েক আগেই মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি বলেছিলেন কংগ্রেসের ইস্তেহার বড়ই সাংঘাতিক। সেখানে দেশের মা - বোনেদের সোনা-রূপোর গয়না হাতিয়ে নেওয়ার ছক কষা হয়েছে। তিনি আরও বলেন মহিলাদের গয়না বাজেয়াপ্ত করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিতরণ করার কথা বলা হয়েছে কংগ্রেসের ইস্তেহারে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর কার্যত ক্ষোভে ফেঁটে পড়েছে রাহুল গান্ধীর দল। নির্বাচন কমিশনের নজর টাকারও কোনও কসরত বাকি রাখেনি তারা। তবে মোদীর এই কংগ্রেসকে আক্রমণের পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে কাদের কাছে ঠিক কত টাকার সম্পদ রয়েছে? যদিও এই বিষয়ে কোনও সাম্প্রতিক তথ্য নেই। তবে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ দলিত স্টাডিজের পক্ষ থেকে ICSSR-এর যৌথভাবে করা একটি সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্য রয়েছে। উল্লেখ্য, এই সমীক্ষাটি করা হয় আজ থেকে বছর চারেক আগে ২০২০ সালে। সেখানে ভারতীয় মুসলিমদের হাতে কত সম্পত্তি রয়েছে, তার হিসেব করা হয়। সেইসঙ্গে হিন্দুদের সম্পত্তির খতিয়ানও তুলে ধরা হয়।
রিপোর্ট বলছে, দেশের উচ্চবর্ণের হিন্দু অধিকৃত মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৪৬ লক্ষ ৩৯ হাজার। যেখানে মুসলিমদের কাছে থাকা সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৮ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা। মাথাপিছু গড় সম্পত্তির কথা বললে, হিন্দু উচ্চবর্ণের পরিবারপিছু গড় সম্পদের পরিমাণ ২৭.৭৩ লক্ষ টাকা। যেখানে মুসলিমদের গড় আয় ৯.৯৫ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে তফসিলি জাতি ও উপজাতির পরিবারপিছু আয় যথাক্রমে ৬.১২ এবং ৬.১৩ লক্ষ টাকা।
রিপোর্ট আরও বলছে, ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি সম্পদের মালিকানা রয়েছে উচ্চবর্ণের হিন্দুদের কাছে। দেশের ৪১ শতাংশ সম্পদ রয়েছে উচ্চবর্ণের হিন্দুদের কাছে। যেখানে অনগ্রসর শ্রেণির হিন্দু তথা ওবিসি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনের দখলে রয়েছে ৩১ শতাংশ সম্পদ। অন্যদিকে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনের হাতে রয়েছে ৮ শতাংশ সম্পদ এবং SC, ST-দের দখলে রয়েছে ৭.৩ এবং ৩.৭ শতাংশ সম্পদ। ২০১১ সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, কেবলমাত্র ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই রয়েছে ১.২ লক্ষ কোটি টাকা। বিগত এক দশকে সেই পরিমাণ আরও বেড়েছে বৈ কমেনি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।