প্রয়োজনীয় সমস্ত বাবার নথি নিয়ে অফিসের এইচআর ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করলে সেই এইচআর ম্যানেজার যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার কথা বলেন বলে অভিযোগ করেছে তরুনী
মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে বাবার সঙ্গেই থাকতো বছর পঁচিশের তরুনী। সঙ্গে থাকে ঠাকুমা ও ভাই। মুম্বই বাসিন্দা এই তরুনীর বাবার মৃত্যু হয় কয়েক দিন আগেই। বাবার পিএফ এর নমিনি ছিল মেয়ের নামে। ফলে এই তরুনীকে বাবার পিএফ এর টাকার জন্য যেতে হয় অফিসে। বলা হয় আঠারো বছর না হওয়া পর্যন্ত এই টাকা তুলতে পারবে না সে।
বর্তমানে পরিচারিকার কাজ করে মেয়েটি। বয়সও আঠারো পেরিয়েছে। কিন্তু এরপরেও বাবার পিএফ এর টাকার পাওয়ার জন্য অফিসে গেলে তাঁকে বারবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিছুতেই বাবার পিএফ এর টাকা ফেরৎ দিচ্ছে না অফিস, এমনটাই অভিযোগ তাঁর।
সম্প্রতি প্রয়োজনীয় সমস্ত বাবার নথি নিয়ে অফিসের এইচআর ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করলে সেই এইচআর ম্যানেজার যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার কথা বলেন বলে অভিযোগ করেছে তরুনী। এই প্রস্তাবের বিষয়ে কথপোকথন ফোনে রেকর্ড করে রাখেন তরুনী। সরাসরি থানায় গিয়ে বাবার পিএফ-এর টাকা না দেওয়া ও সেই টাকা ফেরৎ দিতে কুপ্রস্তাবের হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করে তরুনী। এই কল রেকর্ডিং এর ভিত্তিতে সংস্থার এইচআর ম্যানেজারের উপর মামলা দায়ের করে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত এখনও গ্রেপ্তার হয়নি।
মেয়েদের যৌন হেনস্থার ঘটনা এদেশে নতুন কিছু নয় ৩ মাসের শিশুকন্যা থেকে অশতিপর বৃদ্ধা বাদ যায় না কেউই। আর কর্মস্থানে যৌন হেনস্থার ফলে বিগত ১০ বছরে দেশজুড়ে কর্মজীবী মহিলার সংখ্যা ৭ শতাংশ কমে গিয়েছে। কিন্তু আজও প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে এই হেনস্থার ঘটনা, এই সমস্যার আদৌ শেষ হবে কিনা এর উত্তর কারও জানা নেই।