হায়দরাবাদ গণধর্ষণকাণ্ডে রীতিমত বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বিচার করার জন্য পুলিশ জুভেনাইল আদালতে আবেদন জানাবে। পুলিশের এই আবেদন গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।
হায়দরাবাদ গণধর্ষণকাণ্ডে রীতিমত বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বিচার করার জন্য পুলিশ জুভেনাইল আদালতে আবেদন জানাবে। পুলিশের এই আবেদন গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। হায়দরাবাদে এক কিশোরীকে গাড়ির মধ্যেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৬ জনের বিরুদ্ধে । যারমধ্যে চার জনই নাবালক বলে জানিয়েছেন পুলিশ। তবে অভিযুক্তরা যাতে উপযুক্ত শাস্তি পায় তার জন্য রীতিমত চাপ তৈরি করা হবে বলেও পুলিশ সূত্রের খবর।
হায়দরাবাদ গণধর্ষণকাণ্ডে সবমিলিয়ে ৬ জন অভিযুক্ত। যারমধ্যে পাঁচ জনই নাবালক। অভিযুক্তরা সবাই প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। অভিযুক্তদের সকলের সঙ্গেই প্রশাসনের উচ্চস্তরের যোগাযোগ রয়েছে। তবে তারজন্য বিচার ব্যবস্থা প্রভাবিত হবে না। দোষীরা যাতে সাজা পায় তারজন্য পুলিশ সবরকম সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়েছেন।
জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের ২০১৫ সালের সংশোধনীতে বলা হয়েছে যদি কোনও ব্যক্তির বয়স ১৬-১৮ হয় আর সেই ব্যক্তি যদি জঘন্যতম অপরাধ করে যাতে তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নূন্যতম ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার সিভি আনন্দ বলেছেন, যে পুলিশ সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে পারে। অন্যথায় অভিযুক্তরা মাত্র তিন বছর সাজা পাবে। পুলিশ জানিয়েছে মামলায় পাঁচ জন নাবালকেরই বয়স ১৬-১৮ বছরের মধ্যে। মাত্র এক জনের বয়স অনেকটা কম।
হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ড- গত ২৪ মে বন্ধুদের সঙ্গে পার্টির জন্য ক্লাবে গিয়েছিব ১৭ বছরের একটি কিশোরী। পার্টি শেষ হওয়ার আগেই সেখান থেকে সে বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়ে গিয়েছিল। যারমধ্যে ছিল তার বয়ফ্রেন্ড। কিন্তু গাড়িতে আরও বেশ কয়েকজন সমবয়সীও ছিল। যাইহোক গাড়ি বেশ কিছু জায়গায় ঘুরে জুবিলি হিলস নামে একটি অভিযাত এলাকায় থামে। সেখানেই গাড়ির মধ্যে কিশোরীকে রেখে ধর্ষণ করে একের পর এক জন। একজন যখন ধর্ষণ করছিল অন্যরা তখন গাড়ির বাইরে পাহারা দিচ্ছিল।
মেয়েটি বাড়ি ফিরে যায়। কিন্তু প্রথমে সে কিছুই জানায়নি। পরে অসুস্থতার কথা জানায়। ঘারে আঘাত পেয়েছে বলে নির্যাতিতার বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেস্টের পরই পুলিশ ধর্ষণের মামলা হিসেবে গোটা ঘটনা নথিভুক্ত করে।