৫০০০ হাজারের বেশি বার তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ দায়ের করলেন হায়দরাবাদের এক তরুণী। ২৫ বছরের ওই যুবতী অভিযোগে জানিয়েছেন, কমপক্ষে ১৩৯ জন ব্যক্তি তারওপর অত্যাচার চালিয়েছে। হায়দরাবাদ পুলিশ বিষয়টি সামনে আনতেই শহর জুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
বিবাহ বিচ্ছিন্না ওই তরুণী পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছর ধরেই তিনি যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন। তরুণী জানান ২০০৯ সালে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ২০১০ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তার পরেই বিগত কয়েক বছরে, নানা সময় নানা ভাবে তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে তিনি দাবি করেছেন, যৌন নিগ্রহকারীদের মধ্যে তাঁর প্রাক্তন স্বামীর পরিবারের কয়েক জন সদস্যও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১৩ মাসে ৮ টি সন্তানের জন্ম দিলেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধা, হইচই পড়ে গেল নীতিশ রাজ্যে
পুলিশের দারস্থ হয়ে দলিত ওই যুবতী জানান, বিগত ১০ বছর ধরে তিনি ১৩৯ জনের যৌন লালসার শিকার হয়েছেন। প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন তাঁর ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। ভয়ে, আতঙ্ক ও লজ্জায় এতদিন কারও কাছে নিজের অপমানের কথা বলতে পারেননি। তবে শেষপর্যন্ত নিজেকে বাঁচাতে আর চুপ করে না থেকে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই তরুণী।
মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুঞ্জাগুট্টা থানার পুলিশ ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করেছে। তাঁর মেডিক্যাল টেস্টও করা হয়েছে। অভিযোগকারীনি দলিত হওয়ায়, এসসি/এসটি আইনে পৃথক আর একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সবমিলিয়ে ৪২ পাতার এফআইআরে ১৩৯ জনকে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে যৌন নির্যাতনের কথা জানাতে যুবতীর সাত বছর লাগলো কেন সেই বিষয়টি ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ির সদস্য ছাড়াও বামপন্থী ছাত্রনেতা, চিকিৎসক, গয়না ব্যবসাী, মিডিয়া ও সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায় বলে ৪২ পাতার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছে তরুণী। এমনকি বেঙ্গালুরু ও মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী বেশ কয়েকজনের নামও রয়েছে সেই এফআইআরে। মহিলার আগের পক্ষের স্বামী এই চক্রান্তের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।