
কংগ্রেসের দুর্নীতির সমস্ত রাস্তা বব্ধ করে দিয়েছেন। ভোট প্রচারে কর্ণাটকে আবারও কংগ্রেসকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি নির্বাচনের নতুন স্লোগানও দেন তিনি। বলেন, 'এবারের সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ট বিজেপি সরকার।' কংগ্রেস ও জেডিএস জোটকে হারিয়ে পূর্ণ সংখ্যগরিষ্ঠতা অর্জন করেই বিজেপি কর্ণাটকের সরকার গঠন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আরও বলেন বিজেপিই একমাত্র কর্ণাটকে স্থিতিশীল ও শক্তিশালী সরকার দিতে পারে।
কর্ণাটকে এবার নির্বাচনে বড় ইস্যুই হল দুর্নীতি। কংগ্রেস ও বিরোধীরা বিজেপি সরকারকে ৪০ শতাংশ কমিশনের সরকার বলে নিশানা করেছে। কর্ণাটকে প্রতিটি সরকারি কাজে ঘুষ দিতে হয় বলেও অভিযোগ কংগ্রেসের। এবার পাল্টা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতিকেই ইস্যু করতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, কংগ্রেসের দুর্নীতির সব পথ তিনি বন্ধ করে দিয়েছেন। কংগ্রেস মানেই ছিল দুর্নীতি। তিনি আরও বলেন কংগ্রেসের অ্যাকাউন্টে 'দুর্নীতি-কাল ' রয়েছে। আর বিজেপির অ্যাকাউন্টে 'অমৃতকাল' রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন কংগ্রেস স্লোগান দিচ্ছে মোদীর করব খোঁড়া হচ্ছে। তারপরই তিনি বলেন, কংগ্রেস যখন মোদীর করব খুঁড়তে ব্যস্ত তখনই দেশের সাধারণ মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে চায়।
বেলগাভি জেলার জনসভায় এদিন ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, সেখানেই তিনি বলেন, কর্ণাটকের মানুষ স্থিতিশীল আর শক্তিশালী সরকার চায়। সেইজন্য তারা বিজেপিকেও জয়যুক্ত করবে। তিনি আরও বলেন, বিজেপি শুধুমাত্র রাজ্যে উন্নতির রোডম্যাপই তৈরি করছে। এদিন মোদীর সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী গোবিন্দ করজোল ও শশীকলা জোলে। ছিলেন বিজেপির রাজ্যস্থরের শীর্ষ নেতৃত্বও।
এদিন জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, নতুন শক্তি আর পুরনো অভিজ্ঞতার মিশেল হতে চলেছে কর্ণাটকের সরকার। এই দলটি অমৃতকালে কর্ণাটকের জন্য উন্নয়নের কাজ করবে। দলটি স্থানীয়দের আশীর্বাদ চায় বলেও দাবি করেন মোদী। তিনি বলেন, কর্ণাটককে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে একটি স্থিতিশীল আর শক্তিশালী সরকার প্রয়োজন। সেটা দিতে পারে বিজেপি।
আগামী ১০ মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন। ফল প্রকাশ ১৩ মে। কর্ণাটক এবার বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করছে কংগ্রেস ও জেডিএস। জোট বেঁধেই দুই শক্তি লড়াই করছে। গত বিধানসভা নির্বাচনেও কর্ণাটকে সরকার গঠন করেছিল কংগ্রেস আর জে়ডিএস। কিন্তু সেই সময় বিজেপি বিরোধীদের একত্রিত করে কংগ্রেস জেডিএসকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল। তবে এবার প্রথম থেকেই বিজেপির লক্ষ্য একক ও পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন। আর সেই কারণে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একের পর এক সভা করছেন কর্ণাটকে।