আরও একটি মিগগ বিমান ভেঙে পড়েছে শুক্রবার
চালক যদিও বেঁচে গিয়েছেন
তাঁর প্রাণরক্ষায় ছুটে এসেছিলেন গ্রামবাসীরা
ধন্যবাদ জানালো আইএএফ ও মুখ্যমন্ত্রী
লকডাউন চলছে, কিন্তু তারমধ্যেও রবিশস্য তোলা হয়ে গিয়েছে। তারমধ্যেই শুক্রবার সকালে আকাশ থেকে গোঁ গোঁ করে প্রকান্ড শব্দে নেমে এসেছিল বিপত্তি। মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান। তবে তাতে ঘাবড়াননি পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের গ্রামের চাষীরা। বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ার আগেই নিজেকে ইজেক্ট করতে পেরেছিলেন চালক, কিন্তু, গ্রামবাসীদের তৎপড়তাতেই তাঁর প্রাণ রক্ষা পায় বলে জানা গিয়েছে।
এদিন সকাল ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ প্রশিক্ষণের জন্যই ওই মিগ বিমানটি ওড়াচ্ছিলেন বায়ুসেনার ওই পাইলট। কিন্তু মাঝ আকাশে হঠাৎ প্রয়ুক্তিগত সমস্যা তৈরি হয়েছিল, যা তিনি সেই সময়ে মেরামত করতে পারেননি। এরপর তিনি খাস নামে এক এলাকায় নিজেকে ইজেক্ট করতে পেরেছিলেন। বায়ুসেনার পক্ষ থেকে ওই পাইলটের একটি ছবি শেয়ার করে গ্রামবাসীদের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে বিমানটি ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ছুটে এসেছিলেন। ওই পাইলটকে যেমন সুস্থ করে তোলে, তেমন বিমানটির ধ্বংসস্তূপের আগুনও নিভিয়েছেন।
একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্যারাস্যুট-সহ ওই পাইলট অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ক্ষেতের মধ্যে। আর তাঁকে শুশ্রুষা করছেন এক চিকিৎসক। একজন পাশে একটি স্যআলাইন-এর বোতল ধরে রেখেছেন। আর কয়েকজন গ্রামবাসী কয়েকটি কাপড় হাতে ধরেই চাঁদোয়া তৈরি করে চড়া রোদের হাত থেকে রক্ষা করছে বায়ুসেনার ওই পাইলটকে। আরেকটি ছবিতে আরেক গ্রামবাসীকে দেখা যাচ্ছে, যে হোস পাইপ দিয়ে ক্ষেতে জল দেন, সেই হোস পাইপ দিয়েই জয় ছিটিয়ে, ভেঙে পড়া মিগ বিমানটির আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-ও তাঁর রাজ্যের গ্রামবাসীদের ওই ভূমিকার দারুণ প্রশংসা করেছেন। তিনি টুইট করে বলেন, 'আজ আইএএফ পাইলট মিগ-২৯ ক্র্যাশ হওয়ার আগেই হোশিয়ারপুরে সুরক্ষিতভাবে নিজেকে ইজেক্ট করতে পেরেছেন জানতে পেরে স্বস্তি পেয়েছি। স্থানীয় জনগণকে পাইলটের সহায়তায় অবিলম্বে ছুটে আসার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনাকে সবাইর জন্য গর্বিত!'