কোভিড চিকিৎসায় এবার পরীক্ষা ছাড়াই 'অ্যান্টিসেরা থেরাপি', 'অবৈজ্ঞানিক' কাজ করছে কি আইসিএমআর

কোভিড চিকিৎসায় নতুন থেরাপির ব্যবহার করতে চলেছে আইসিএমআর

ঘোড়ার দেহে তৈরি করা হয়েছে বিশুদ্ধ 'অ্যান্টিসেরা'

কোনওরকম পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হতে পারে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটা একেবারে 'অবৈজ্ঞানিক' কাজ

amartya lahiri | Published : Oct 1, 2020 6:00 PM IST

বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য সম্পূর্ণ একটি নতুন থেরাপির কথা ঘোষণা করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর। এদিন একাধিক টুইট করে ভারতের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সর্বোচ্চ গবেষণা সংস্থা ঘোষণা করেছে হায়দরাবাদের 'বায়োলজিকাল ই লিমিটেড'এর সঙ্গে মিলে আইসিএমআর কোভিড-১৯ এর চিকিত্সার জন্য ঘোড়ার দেহে বিশুদ্ধ 'অ্যান্টিসেরা' তৈরি করেছে। কোনওরকম পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে বলে দাবি তাদের। তবে সংক্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটা একেবারে 'অবৈজ্ঞানিক' কাজ হবে।

আইসিএমআর-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ রোগীদের দেহ থেকে গ্রহণ করা প্লাজমায় অ্যান্টিবডির প্রোফাইল, তাদের কার্যকারিতা এবং ঘনত্ব সব রোগীর ক্ষেত্রে একরকম থাকে নায। তাই সেই অ্যান্টিবডি দিয়ে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা করা অত্যন্ত সমস্যার। তার জন্যই এই অ্যান্টিসেরা তৈরি করা হয়েছে। এর আগে বেশ কিছু ভাইরাসজনিত এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।

আইসিএমআরের অন্যতম প্রধান বিজ্ঞানী ডাক্তর সমিরণ পান্ডা জানিয়েছেন, ভারতে পরীক্ষামূলক থেরাপি হিসাবে এই থেরাপি ব্যবহারের অনুমতির জন্য ভারতের ড্রাগের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং শিঘ্রই তা কার্যকর করা হবে। আর পুরোনো চিকিৎসা বিজ্ঞানের ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে বলে অ্যান্টিসেরা থেরাপির কোনও সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা সংক্রান্ত পরীক্ষারও দরকার নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।

তবে, সংক্রমণ বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে আইসিএমআর-এর সঙ্গে একমত হতে পারছেন না। বরং দেশের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থার এই দৃষ্টিভঙ্গি তাদের বিস্মিত করেছে। ওয়ার্ধার এমজিআইএমএস-এর গবেষক ও মেডিকেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডাক্তার এসপি কালান্ত্রী থেকে ভাইরোলজিস্ট ডাক্তার শাহিদ জামিল সকলেই বলছেন, আইসিএমআর তাদের নিজেদের বৈজ্ঞানিক গবেষণার নীতিই লঙ্ঘন করছে। এটা অনৈতিক এবং অবৈজ্ঞানিক। তাঁরা বলছেন, অ্যান্টিসেরা বিকাশের পদ্ধতিটি নতুন না হলেও থেরাপি-র দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটি কার্যকর এবং নিরাপদ কিনা তার প্রমাণ অবশ্যই দরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকাতেও তাই বলা হয়েছে।

Share this article
click me!