'১০ দিন আগে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের কাছে জানতে চায়, জেলের ভিতর থেকে সরকার চলতে পারবে না কেন? তাই দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের হাতজোড় করে বলব, প্রধানমন্ত্রী যদি জেলে ঢোকানোর হিম্মত দেখান, ইস্তফা দেবেন না। জেল থেকে সরকার চালান।'
আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে জামিন পেয়ে জেল থেকে শর্তসাপেক্ষে বের হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর তার পরেই রাজনৈতিক মহলে কার্যত বিস্ফোরণ ঘটান। নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণ করেই ফের তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ইস্তফা দিতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন অরবিন্দ। এদিকে, সেই অরবিন্দই বিশেষ বার্তা পাঠালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
তাঁর পরামর্শ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এম কে স্ট্যালিন, সিদ্দারামাইয়া, হেমন্ত সোরেনদের অনুরোধ করেছেন, কোনও পরিস্থিতিতেই যাতে কেউ পদত্যাগ না করেন, জেল থেকেই সরকার চালান। এদিন কেজরিওয়াল বলেন, "বিধায়ক ভাঙানো, ED, CBI দিয়ে ভয় দেখানো, ভুয়ো মামলা করে জেলে ভরে দেওয়া, সরকার ফেলে দেওয়াই বিজেপি-র ফর্মুলা। ভেবেছিল, কেজরিওয়ালকে জেলে ভরলে আম আদমি পার্টি ভেঙে যাবে। বিধায়ক ভাঙিয়ে দিল্লিতে সরকার গড়ে ফেলবে বিজেপি। পঞ্জাবেও বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার গঠন করা সম্ভব হবে। কিন্তু আমাদের দল ভাঙেনি, বিধায়ক-কার্যকর্তাদের ভাঙাতে পারেনি। এদের এতবড় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতা আছে আমাদের। ভেবেছিল মনোবল ভেঙে দেবে। জেলে এই ১৫০-২০০ দিনে আমার মনোবল ১০০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।"
প্রায় ছ'মাস ধরে জেলবন্দি ছিলেন কেজরিওয়াল। সেই সময় লাগাতার তাঁর ইস্তফার দাবিতে সরব হয় বিজেপি। কেন ইস্তফা দেননি, এদিন তার জবাবও দেন কেজরিওয়াল। বলেন, "ইস্তফা দিইনি কারণ দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। এটা বিজেপি-র নয়া ফর্মুলা। যেখানে যেখানে হেরেছে, সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা করে, গ্রেফতার করে, ED-CBI পাঠিয়ে সরকার ফেলার দেওয়ার চেষ্টা। হেমন্ত সোরেন, সিদ্দারামাইয়া, পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধেও একই জিনিস চলছে। বিরোধী শিবিরের একজন মুখ্যমন্ত্রীকেও ছাড়ে না এরা। ভুয়ো মামলা করে, জেলে ঢোকায়। ১০ দিন আগে সুপ্রিম কোর্টের এক বেঞ্চ কেন্দ্রের কাছে জানতে চায়, জেলের ভিতর থেকে সরকার চলতে পারবে না কেন? অর্থাৎ জেলের ভিতর থেকে সরকার চলতে পারে। তাই দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের হাতজোড় করে বলব, প্রধানমন্ত্রী যদি জেলে ঢোকানোর হিম্মত দেখান, ইস্তফা দেবেন না। জেল থেকে সরকার চালান।"
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।