ঘুষ গ্রহণকারী ব্যক্তি ঘুষদাতাকে ভোট না দিলেও তাতে কিছু যায় আসে না। এটিকে বিশেষাধিকারের আওতায় আনা যাবে না, কারণ এটি হাউসের কাজকর্মের সাথে সম্পর্কিত নয়। বিশেষাধিকার শুধুমাত্র হাউসের কাজকর্মের সাথে সম্পর্কিত।
ভোট ফর নোট মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিল সুপ্রিম কোর্ট। ৪ঠা মার্চ সোমবার আদালত ১৯৮৮ সালের সিদ্ধান্ত বাতিল করে এবং বলে যে এটি বিশেষাধিকারের আওতায় আসে না। তাই সাংসদ ও বিধায়কদের ছাড় দেওয়া যাবে না। ঘুষ গ্রহণকারী ব্যক্তি ঘুষদাতাকে ভোট না দিলেও তাতে কিছু যায় আসে না। এটিকে বিশেষাধিকারের আওতায় আনা যাবে না, কারণ এটি হাউসের কাজকর্মের সাথে সম্পর্কিত নয়। বিশেষাধিকার শুধুমাত্র হাউসের কাজকর্মের সাথে সম্পর্কিত।
ক্যাশ-ফর-ভোট মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের ১৯৯৮ সালের সিদ্ধান্তকে বাতিল করেছে। ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ছাড়াও সাত বিচারপতির বেঞ্চে ছিলেন এস বোপান্না, এমএম সুন্দ্রেশ, পিএস নরসিংহ, জেবি পার্দিওয়ালা, সঞ্জয় কুমার এবং মনোজ মিশ্র। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘আইনপ্রণেতাদের দুর্নীতি এবং ঘুষ ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রকে ভেঙে দিচ্ছে।’’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘পিভি নরসিংহ রাও মামলার রায়ে এক অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়, যেখানে কোনও আইনপ্রণেতা যিনি ঘুষ নিয়ে ভোট দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা যায় না, পাশাপাশি যিনি ঘুষ না নিয়ে ভোট দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যায়।’’
আদালত বলছে, এ বিষয়ে সংসদ সদস্যরা যেন স্বস্তি না পান। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছেন, ঘুষের জন্য কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া যাবে না। নোটের জন্য ভোটের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত জেএমএ-এর সীতা সোরেনের উপর প্রভাব ফেলবে। ২০১২ সালে রাজ্যসভায় ভোট দিতে ঘুষ নিয়েছিলেন সীতা।
যারা ঘুষ খেয়ে ভোট দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত দিয়েছে। বেঞ্চ বলেছে যে যারা ভোট দিতে নোট নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। এখন এর পরে জেএমএমের সীতা সোরেনের বিরুদ্ধে মামলা করা যেতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে চলেছে বহু রাজ্যের সাংসদ ও বিধায়কদের ওপর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।