সাক্ষী হত্যা মামলায় সামনে এল গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ, সাহিলের তিন বন্ধুকেও কড়া নজরে রাখছে পুলিশ

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে আসামি সাহিলের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ দুইদিন বাড়িয়েছে আদালত।

দিল্লির শাহবাদ ডেইরি এলাকায় সাক্ষী হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর এই মামলার নতুন রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে। এই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পেয়েছে দিল্লি পুলিশ। সাহিল যে ছুরি দিয়ে সাক্ষীকে ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে আক্রমণ করেছিল তা উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। শুধু তাই নয়, পুলিশ এখন এই মামলায় সাহিল এবং তার তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করতে পারে এবং তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে।

আসলে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে আসামি সাহিলের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ দুইদিন বাড়িয়েছে আদালত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত প্রতিনিয়ত তার বক্তব্য পরিবর্তন করছেন। এই ঘটনায় ডিসিপি আউটার নর্থ রবি কুমার সিং জানিয়েছেন, ১৬ বছরের তরুণীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত সাহিলের ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ।

Latest Videos

ছুরিটি কোথা থেকে কেনা হয়েছিল

হত্যা মামলার তদন্তের সময় দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, খুনে ব্যবহৃত ছুরিটি দিল্লির বাইরে হরিদ্বার থেকে কেনা হয়েছিল। সাহিল শুধু সাক্ষীকে হত্যা করার জন্যই ছুরি কিনেছিল নাকি এর মাধ্যমে আগে কাউকে আহত করেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ময়নাতদন্ত রিপোর্টে কী বললেন চিকিৎসক

তদন্তে দেখা গেছে, সাহিল ছুরি দিয়ে সাক্ষীর উপর এত বেশি আক্রমণ করেছিল যে তার শরীরের অনেক অংশ বিকল হয়ে গিয়েছিল। এসব হামলার কারণে রক্তের ক্ষরণ অনেক বেশি হয়ে গিয়েছিল। সাক্ষীর মৃতদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা পুলিশকে জানিয়েছেন, সাক্ষীর বেশিরভাগ অঙ্গই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যর্থতা এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে সাক্ষীর মৃত্যু হয়েছিল।

অন্যদিকে, দিল্লি পুলিশ তার তদন্ত জোরদার করেছে এবং এখনও পর্যন্ত সাক্ষীর বন্ধু প্রবীণ ও ভাবনা, ভাবনার বন্ধু ঝাব্রু এবং নীতুর বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। নিতুর বাড়িতে থাকতেন সাক্ষী। অভিযুক্ত সাহিল সম্পর্কে লোকে জানায় যে সে খুব লাজুক ছিল। নিজের কাজে মন দিতেন। তবে তার মারামারির কারণে পরিবারকে কলোনি বদল করতে হয়েছে।

সাহিলের বন্ধুদেরও কড়া নজরদারি হবে

হত্যার আগে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, হত্যার সময় সাহিলের বন্ধুরাও আশেপাশে ছিল। সাহিলের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নাম বীরু, আজাদ এবং প্রদীপ। পুলিশের দল বীরুর বাড়িতেও হানা দেয়। পুলিশ সাহিলের কল ডিটেইল রেকর্ড বের করেছে, যাতে জানা যায় সে আজাদের সাথে খুনের বিষয়ে কথা বলেছিল, সে কারণেই তাকে ধরা হয়েছে। পুলিশ জানতে চায় সাহিলের সঙ্গে কী কথা হয়েছে?

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি পুলিশ সাহিলের সাথে যুক্ত ছেলেদের শনাক্ত করছে যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা যেতে পারে। আমরা আপনাকে বলি যে পুলিশ তদন্তে যোগদানের জন্য একটি ছেলেকে নোটিশ দিয়েছে, যে একজন নাবালক এবং বলা হয় সাক্ষীর পুরোনো বন্ধু।

Share this article
click me!

Latest Videos

'আমি মারা গেলে আমার যেন স্ট্যাচু না হয়' দলের উদ্দেশ্যে বার্তা মমতার
হঠাৎ করে TMC নেতারা পুলিশের বিরুদ্ধে কেন? কী উদ্দেশ্যে? প্রশ্ন অগ্নিমিত্রার | Agnimitra Paul
'বালি চুরি, কয়লা চুরিতে যুক্ত পুলিশদের একাংশ' বিস্ফোরক মন্তব্য মমতার | Mamata Banerjee
Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি
Bangla News : সুকান্তকে বাধা, বেলডাঙা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি | Asianet News Bangla