এবারের লোকসভা নির্বাচনে ৩০০-র গণ্ডিও টপকাতে পারেনি NDA। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে BJP। অন্যদিকে ২৩০-এর বেশি আসন পাওয়ার পরেও সরকার গড়ার চেষ্টা করেনি INDIA জোট। বরং বিরোধী দলের ভূমিকাই গ্রহণ করতে চলেছেন তারা।
সিঁদুরে মেঘ দেখছে ইন্ডিয়া শিবির। ২৩৪ আসন এক ধাক্কায় কমে দাঁড়াতে পারে ২২৮-এ। পরিস্থিতি যে পথে এগোচ্ছে তাতে জিতেও স্বস্তি নেই বিরোধী শিবিরে। সদ্য জয়ী ইন্ডিয়া জোটের ৬ সাংসদের মাথার উপর ঝুলছে শাস্তির খাঁড়া। ২৩৪ আসন এক ধাক্কায় কমে দাঁড়াতে পারে ২২৮-এ। পরিস্থিতি যে পথে এগোচ্ছে তাতে জিতেও স্বস্তি নেই বিরোধী শিবিরে। সদ্য জয়ী ইন্ডিয়া জোটের ৬ সাংসদের মাথার উপর ঝুলছে শাস্তির খাঁড়া।
২০১৪ সালে ৪৪, ২০১৯ সালে ৫২টি আসন ছিল কংগ্রেসের ঝুলিতে। তবে চব্বিশের লোকসভা ভোটে মারকাটারি পারফরম্যান্স করেছে কংগ্রেস। এবার ৯৯টি আসনে জয়ী হয়েছে রাহুল গান্ধীদের দল। যে কারণে প্রায় ১০ বছর পর ফের লোকসভায় ‘বিরোধী দলনেতা’ পদটিও ফিরতে চলেছে। তবে এবার রাজ্যসভা নিয়ে সংকটে পড়েছে তারা!
এবারের লোকসভা নির্বাচনে ৩০০-র গণ্ডিও টপকাতে পারেনি NDA। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে BJP। অন্যদিকে ২৩০-এর বেশি আসন পাওয়ার পরেও সরকার গড়ার চেষ্টা করেনি INDIA জোট। বরং বিরোধী দলের ভূমিকাই গ্রহণ করতে চলেছেন তারা। বিরোধী দলনেতার ভূমিকায় এবার দেখা যাবে রাহুল গান্ধীকে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি তাঁকে লোকসভার বিরোধী দলনেতার পদের জন্য মনোনীত করে প্রস্তাব পাশ করেছে।
২৪৫ আসন বিশিষ্ট রাজ্যসভায় এই মুহূর্তে প্রধান বিরোধী দল হল কংগ্রেস। রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা পদের জন্য দরকার ১০% তথা ২৫ জন সাংসদ। এতদিন কংগ্রেসের ২৮জন সাংসদ ছিলেন। তবে এর মধ্যে থেকে দু’জন এবার লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। ফলত তাঁদের নিজ নিজ পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ২৬।
এবারের লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন কেরলের রাজ্যসভা সাংসদ কেসি বেণুগোপাল ও হরিয়ানার রাজ্যসভা সাংসদ দীপেন্দ্র সিং হুডা। দু’জনেই জয়ী হয়েছেন। এবার তাঁরা যদি লোকসভার সাংসদ পদ রাখতে চান, তাহলে তাঁদের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। এই কারণেই চাপে পড়তে পারে কংগ্রেস!
এমতাবস্থায় হাত শিবির যদি আর দু’টি আসন খোয়ায়, তাহলেই রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ হারাতে হবে মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে। অর্থাৎ লোকসভায় এক দশক পর ‘বিরোধী দলনেতা’ পদ ফিরলেও, আপাতত রাজ্যসভার সমীকরণ ভাবাতে পারে কংগ্রেসকে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।