ভ্যাকসিন না এলে সামনে মহাবিপদ, বিশেষজ্ঞরা বলছেন দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছবে ৩ লক্ষে

Published : Jul 08, 2020, 01:29 PM ISTUpdated : Jul 08, 2020, 01:33 PM IST
ভ্যাকসিন না এলে সামনে মহাবিপদ, বিশেষজ্ঞরা বলছেন  দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছবে ৩ লক্ষে

সংক্ষিপ্ত

ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে ভারত পেছনে পড়ে যাবে আমেরিকা ও ব্রাজিল সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে অবস্থা সবচেয়ে খারাপ উদ্বেগের খবর শোনাল বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা

প্রতিদিনই দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নতুন রেকর্ড গড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যা রোজ ২০ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে অনায়াসে। যা কপালে চিন্তার ভাজ ক্রমেই বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। এরমধ্যেই আরও আশঙ্কার খবর শোনাল সাম্প্রতিক একটি গবেষণা। যেখানে দাবি করা হয়েছে, ভ্যাকসিন না বেরলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে প্রতিদিন করোনা সংক্রমণের শিকার হবেন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ।

বর্তমানে রাশিয়াকে পেছনে ফেলে করোনা আক্রান্ত দেশ হিসাবে তিন নম্বরে উঠে এসেছে ভারত। মোট সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় সাড়ে সাত লক্ষের কাছাকাছি। তবে পরিস্থিতি যদি না বদলায় তাহলে বিশ্বে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় একেবারে শীর্ষে পৌঁছে যেতে বেশি সময় লাগবে না। পেছনে পরে যাবে আমেরিকা ও ব্রাজিলও। ভারতের জন্য এমন উদ্বেগের খবরই শুনিয়েছে ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি)।

আরও পড়ুন: পরীক্ষা বাতিলের পর এবার কমল সিলেবাস, করোনার জন্য সিদ্ধান্ত নিল সিবিএসই বোর্ড

নামজাদা এই প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা বলছে,প্রতিষেধক না এলে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে দেশে দৈনিক ২ লক্ষ ৮৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন।পরিস্থিতিটা সবচেয়ে খারাপ জায়গায় পৌঁছবে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে। বিশ্বের ৮৪টি দেশে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের উপর সমীক্ষা চালিয়েছিল এমআইটি। তাতে  ভারতের পক্ষে রীতিমতো উদ্বেগজনক পূর্বাভাস দিচ্ছেন এমআইটি-র স্লোয়ান স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টের গবেষকরা।  

ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষকরা আশঙ্কা করছেন আগামী ৮ মাসে আরও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি দেখা দেবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আমেরিকাতেও। আর আগামী মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছবে ২০ থেকে ৬০ কোটির মধ্যে।

আরও পড়ুন:ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টায় দেশ, তার মাঝেই কেন্দ্রের রিসার্চ ইনস্টিটিউ থেকে পদত্যাগ অন্যতম বিজ্ঞানীর

ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির স্লোয়ান স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টের গবেষকরা এই সমীক্ষা চালাতে গিয়ে দু’টি বিশেষ মডেল ব্যবহার করেছেন। একটি, ‘এসইআইআর (সাসেপ্টেব্‌ল, এক্সপোজ্‌ড, ইনফেকশাস, রিকভার্ড)’। অন্য মডেলটি পুরোপুরি গাণিতিক। কোনও সংক্রামক ব্যাধির সংক্রমণ কতটা হতে পারে, তার আঁচ পেতে যে মডেলটি আকছারই ব্যবহার করে থাকেন এপিডিমিয়োলজিস্টরা। যদিও এদেশের  বিশেষজ্ঞদের একাংশ এমআইটি-র এই সমীক্ষাকে অতটা গুরুত্ব দিতে রাজি নন। বরং এমআইটি-র অঙ্ক কষে একটা সংখ্যা বলে দেওয়াকে গুরুত্ব দিতে তাঁরা নারাজ।  এই সমীক্ষায় মানুষ অযথা আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন বলেই আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

৮২৭ কোটি টাকা যাত্রীদের এখনও পর্যন্ত ফেরত দিয়েছে , বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল IndiGo
IndiGo বিমান পরিষেবা বিভ্রাট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা, কী বলল শীর্ষ আদালত