৯৭ দিন পর দেশে ৫ লক্ষের নিচে নামল অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা, কমেছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ

দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণের গতি ফের নিম্নমুখী ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ১১১ জন মৃত্যু হয়েছে ৭৩৮ জনের ৫ লক্ষের নিচে নামল অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা

দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণের গতি ফের নিম্নমুখী। শুক্রবারের থেকে আজ সংক্রমণের মাত্রা খানিকটা কমেছে। গতকাল সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৪৬ হাজার ৬১৭। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ১১১ জন। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৫ লক্ষ ২ হাজার ৩৬২।

আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে মৃতের সংখ্যাও। কয়েকদিন আগে মৃতের সংখ্যা হঠাৎই বেড়ে গিয়েছিল। ফের হাজারের উপরে উঠে যায় সংখ্যা। তবে গতকাল মৃতের সংখ্যা ফের হাজারের নিচে নেমেছে। গতকালের তুলনায় আজও মৃতের সংখ্যা খানিকটা কম। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭৩৮ জনের। এর ফলে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ১ হাজার ৫০। 

প্রায় ৯৭ দিন পর অ্যাক্টিভ কেস, অর্থাৎ চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষের নিচে নামল। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৩৩। কয়েক মাস আগে এই সংখ্যাটা ছিল ৩৭ লক্ষের উপরে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭ হাজার ৪৭৭ জন। ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯৬ লক্ষ ৫ হাজার ৭৭৯ জন। অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বা আইসিএমআরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুক্রবার ১৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ এর জন্য ৪১ কোটি ৬৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৪৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের গতি নিম্নমুখী হলেও এখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আর সেই কারণে যতটা দ্রুত সম্ভব দেশবাসীর টিকাকরণ সম্পন্ন করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখনও পর্যন্ত ৩৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ১১ হাজার ২৯১ জনের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। এরই মধ্যে করোনার এক নতুন প্রজাতি ডেল্টা প্লাসের খোঁজ পেয়েছেন গবেষকরা। এই প্রজাতির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে। এদিকে এই মুহূর্তে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে করোনার সংক্রমণ কম থাকায় শুরু হয়েছে আনলক প্রক্রিয়া। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।