মূলত ডিআরডিও অতি দুর্গম এলাকায় যাতে ভারতীয় সেনারা সহজেই তাদের কাজ চালাতে পারে তার জন্য নতুন নতুন পদক্ষেপ নেয়। এমন এমন সব অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে যেগুলি লাদাখের মতো দুর্গম এলাকাতেও ব্যবহার করতে সক্ষম হন ভারতীয় সেনারা।
ভারতের প্রতিরক্ষা সেক্টরকে দিন দিন উন্নত করার জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা DRDO। তাদের এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যেই মঙ্গলবার একটি মিসাইলের সকল পরীক্ষা করা হলো। রাজস্থানের পোখরানে নতুন এই মিসাইলের পরীক্ষা হয় এবং যে পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে ডিআরডিও।
মূলত ডিআরডিও অতি দুর্গম এলাকায় যাতে ভারতীয় সেনারা সহজেই তাদের কাজ চালাতে পারে তার জন্য নতুন নতুন পদক্ষেপ নেয়। তাদের তরফ থেকে এমন এমন সব অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে যেগুলি লাদাখের মতো দুর্গম এলাকাতেও ব্যবহার করতে সক্ষম হন ভারতীয় সেনারা। এসবেরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এই মিসাইল ভারতীয় সেনাদের অনেকটাই সাহায্য করবে আগামী দিনে যুদ্ধ জয় থেকে শুরু করে শত্রুপক্ষের ঘুম ওড়ানোর জন্য।
নতুন যে মিসাইলের সফল পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে সেটি হল ম্যান প্রোটেবল অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল। আগেই বলা হয়েছে এই মিসাইলটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই মিসাইলটি এতটাই হালকা যে তা সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা বহন করে নিয়ে যাওয়া যাবে। শুধু দিনের বেলায় নয়, রাতের বেলাতেও নিখুঁতভাবে আঘাত হানার ক্ষেত্রে কোনো রকম অসুবিধা হবে না। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই মিসাইলটি রাত দিন যে কোন সময় নিখুঁতভাবে আঘাত হেনে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে পারবে শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক থেকে শুরু করে ভারী যান ইত্যাদি।
ডিআরডিও-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অত্যাধুনিক এই মিসাইলটির ওজন মাত্র ১৫ কেজি। ডিআরডিও নতুন যে মিসাইল সফলভাবে পরীক্ষা করেছে সেই মিসাইল আড়াই কিলোমিটার দূর থেকেও নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারবে। স্বাভাবিকভাবেই এমন একটি মিসাইল ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে এলে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।