এই সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল পাশের জন্যই আগামী ১৮-২২ ডিসেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিরোধীরা। যদিও কেন্দ্রের তরফে এবিষয় কিছুই জানানো হয়নি।
জি২০ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণপত্র ঘিরে বেড়েই চলেছে জল্পনা। এমনকী মোদীর ইন্দোনেশিয়া সফরসূচিতেও ইন্ডিয়া ছেটে ভারত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারই কি তবে নয়া পরিচয়লিপি মঙ্গলবার প্রকাশ্যে আনতে চলেছে কেন্দ্র? শুরু হয়েছে জোড় জল্পনা। উল্লেখ্য এই সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল পাশের জন্যই আগামী ১৮-২২ ডিসেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিরোধীরা। যদিও কেন্দ্রের তরফে এবিষয় কিছুই জানানো হয়নি।
জি২০ অধিবেশনের নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। সংসদের এই বিশেষ অধিবেশনের আমন্ত্রণপত্রে ইন্ডিয়ার বদলে দেশের নাম লেখা হল ভারত। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের পক্ষ থেজে বলা হয়েছে চিরাচরিত ভাবে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’-র পরিবর্তে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে আসন্ন অধিবেশনে কি তবে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব পেশ করতে চলেছে মোদী সরকার।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর জি২০ অধিবেশনে অংশ নেওয়ার কথা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। এই অধিবেশনের আমন্ত্রণ পত্র ঘিরেই শুরু হয়েছে তরজা। ভারতের রাষ্ট্রপতি কাউকে কোনও চিঠি লিখলে তাতে চিরাচরিত ভাবে লেখা থাকে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ কথাটি। সেক্ষেত্রে এবারের বৈঠকে সেই জায়গায় 'প্রেসিডেন্ট অফ ভারত' লেখায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। হঠাৎ এই বদলের কারণ জানতে চেয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ কংগ্রেসের।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই একটি সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন আফ্রিকা ভারতের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এটি তাদের বিশ্বব্যাপী বিষয়গুলিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য রাজ করে যাবে। আফ্রিকার কণ্ঠস্বরকে প্রাধান্য দিতে হবে। তিনি আরও বলেছিলেন, গত কয়েক বছর ভারত নিজেকে একটি নেতৃত্বস্থানীয় কণ্ঠস্বর হিসেবে তুলে ধরেছে। গ্লোবাল সাউথ বা উন্নয়নশলী দেশগুলির, বিশেষ করে আফ্রিকা মহাদেশের চ্যালেঞ্জ ও আকাঙ্কাগুলিকে চিহ্নিত করেছে।