G20 Summit: জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন সফল করতে সেনাবাহিনীর দুর্দান্ত পরিকল্পনা, নিরাপত্তা দুর্গে পরিণত নয়াদিল্লি

১৫টিরও বেশি কুকুর সক্রিয় থাকবে, যারা যেকোনো বিস্ফোরক পদার্থের গন্ধ পেলেই তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে সতর্ক করবে। পাঁচ থেকে দশটি বোমা নিষ্ক্রিয় স্কোয়াডও মোতায়েন করা হবে।

৯-১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন ভারতীয় সেনাবাহিনীর অনুসন্ধান স্কোয়াড এবং বোমা নিষ্ক্রিয় স্কোয়াড দ্বারা সুরক্ষিত থাকবে। ড্রোনের মাধ্যমে সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে কাউন্টার ড্রোন ব্যবস্থাও মোতায়েন করেছে সেনাবাহিনী। জি-২০-এর নিরাপত্তার পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী প্রয়োজন অনুযায়ী দিল্লি পুলিশ ও প্রশাসনকে সব ধরনের সহায়তা দেবে।

সম্মেলন সফল করতে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনী পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। একদিকে সেনাবাহিনী নিরাপত্তা দুর্গকে দুর্ভেদ্য করে তুলবে, অন্যদিকে প্রশাসনকে সাহায্য করবে। এরকম ১৫টিরও বেশি কুকুর সক্রিয় থাকবে, যারা যেকোনো বিস্ফোরক পদার্থের গন্ধ পেলেই তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে সতর্ক করবে। পাঁচ থেকে দশটি বোমা নিষ্ক্রিয় স্কোয়াডও মোতায়েন করা হবে। জেনে রাখা ভালো যে যে একটি দলে চার থেকে পাঁচজন সেনা জওয়ান রয়েছে। সেখানে প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান আছে যারা বোমা শনাক্ত হলে সহজেই নিষ্ক্রিয় করতে পারে।

Latest Videos

দুটি হ্যাজম্যাট যান মোতায়েন করা হবে

নিরাপত্তার কারণে, সম্মেলন চলাকালীন অত্যাধুনিক সেন্সর লাগানো দুটি হ্যাজমাট গাড়ি মোতায়েন করা হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী এসব যানবাহন সহজেই যে কোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। গাড়িটি রাসায়নিক, জৈবিক, রেডিওলজিক্যাল এবং নিউক্লিয়ার (CBRN) আক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করবে। রাসায়নিক, জৈবিক, রেডিওলজিক্যাল এবং পারমাণবিক পদার্থ দেশীয় হ্যাজমাট যানের মাধ্যমে সনাক্ত করা যেতে পারে, যার কারণে বায়ু, জল এবং তরঙ্গের মাধ্যমে সম্মেলনের উপর যে কোনও আক্রমণ বানচাল করা হবে। শুধু তাই নয়, অত্যাধুনিক হ্যাজমাট গাড়িটি কী ধরনের পদার্থ এবং কী ধরনের বিপদ হতে পারে তাও বলে দেয়। এটা প্রতিরোধে কি করা যেতে পারে, তার নির্দেশ দিতে পারে এই গাড়ি।

দিল্লি পুলিশ বিক্রান্ত গাড়ি চালু করেছে

শীর্ষ সম্মেলনের সময় এমন ষড়যন্ত্র যাতে কেউ না চালাতে পারে, তার জন্য দিল্লি পুলিশ বিক্রান্ত গাড়ি চালু করেছে। যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ বা দাঙ্গা মোকাবেলার জন্য এই গাড়িতে সব ধরনের রসদ রয়েছে। যে কোনো বিক্ষোভ বন্ধ করতে, পুলিশের লাঠি থেকে শুরু করে বডি শিল্ড কভার, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, গভীর রাতের জন্য বড় টর্চ, টায়ার বাস্টার, বিশেষ এবং দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে যা যে কোনো দাঙ্গাবাজ বা অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হবে যারা পরিস্থিতি নষ্ট করে। দিল্লি পুলিশ প্রতিটি জেলায় বিক্রান্ত গাড়ি মোতায়েন করেছে।

জি ২০ সম্মেলনের সময় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে রাজধানী দিল্লি জুড়ে। হাসপাতালের ওপিডি এবং চিকিৎসা সুবিধা আগামী সপ্তাহে স্বাভাবিকভাবে চলবে। সাধারণ দিনের মতো, ৮ এবং ৯ সেপ্টেম্বর সুচেতা কৃপলানি এবং কালাবতী শরণ হাসপাতাল, এইমস, সফদরজং, আরএমএল, লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজের সাথে যুক্ত ওপিডি স্বাভাবিক নিয়মেই কাজ করবে।

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে দিল্লির মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে। তবে সুপ্রিম কোর্ট, খান মার্কেট, মান্ডি হাউস, সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েটের মত স্টেশনগুলি তিনদিনের জন্য বন্ধ থাকবে।

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি
টাকা 'হজম' করার আগেই ধরে ফেলে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী | Suvendu Adhikari | Awas Yojana
ভাটপাড়ায় প্রোমোটারের 'দাদাগিরি', আতঙ্কে জমির মালিক, কি বলছে পুরসভা! দেখুন | Bhatpara News
'আমি মারা গেলে আমার যেন স্ট্যাচু না হয়' দলের উদ্দেশ্যে বার্তা মমতার
‘সবরমতি রিপোর্ট’ দেখলেন বিজেপির হেভিওয়েটরা! দেখুন কী বার্তা দিলেন সিনেমার ব্যপারে | Sabarmati Report