
আবহাওয়ার খবর: রাজ্যসহ সারাদেশের আবহাওয়ায় ক্রমাগত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। কোথাও তীব্র শীতে নাগরিকরা কাঁপছেন, তো কোথাও ভারী বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। বর্ষা শেষ হয়ে অনেক মাস কেটে গেলেও কিছু এলাকায় এখনও বৃষ্টি বিদায় নেয়নি। বিশেষ করে, ১ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখেও দেশের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে গত এক মাস ধরে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। উত্তর দিক থেকে আসা শৈত্যপ্রবাহের কারণে রাজ্যের অনেক জেলায় তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গেছে। পারভানি জেলায় রাজ্যের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, এখানে ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। ধুলেতে ৬.৬ ডিগ্রি, নিফাড়ে ৬.৮ ডিগ্রি, এবং যাবতমাল, অহল্যানগর, গোন্দিয়া ও নাগপুরে সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন পারভানি, ধুলে এবং নিফাড়ে তীব্র শীত বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, একটি নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে দেশের অনেক অংশে আবহাওয়ায় বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। এর ফলে কিছু রাজ্যে ভারী বৃষ্টি এবং উঁচু পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিবর্তিত আবহাওয়ার কারণে নাগরিকদের, বিশেষ করে স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য আবহাওয়া বিভাগ আবেদন জানিয়েছে।
৩১ ডিসেম্বরের রাতে পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ে ঘন থেকে অতি ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশে ১ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত কুয়াশার পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এছাড়া ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারির মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, গিলগিট এবং মুজাফফরাবাদে কিছু জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
১ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখে পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে, অন্যদিকে ৩১ ডিসেম্বর রাজস্থানে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারির মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কিছু শহরে শীত ও বৃষ্টির পাশাপাশি দূষণের মাত্রাও বাড়তে দেখা যাচ্ছে।