
India Pakistan Clash: গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওতে নিরীহ পর্যটকদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ভূস্বর্গে ঘুরতে এসে খুন হতে হয়েছে ২৬ জন পর্যটককে। তার পর থেকেই ক্রমশ চড়ছে ভারত-পাক উত্তেজনা। দুই দেশের এই অশান্তির আবহে পড়শি পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে একাধিক উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত (India)।
ভারত সরকারের তরফে ইতিমধ্যে স্থগিত রাখা হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সার্ক ভিসা। মেডিকেল ভিসায় এদেশে আসা পাক নাগরিকদেরও অবিলম্বে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। যদিও ভারতের এই প্রত্যাঘাতে চুপ করে বসে নেই লাহোর। ইসলামাবাদ থেকে একের পর এক হুমকি আসছে। ভারতের সঙ্গে ময়দানে নেমে যুদ্ধেরও হুংকার দিয়েছেন সেদেশের একাধিক নেতামন্ত্রী। কিন্তু এই আবহে সত্যিই যদি ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে নামে, তাহলে সামাল দিতে পারবে তো করাচি?
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে ভারত আঘাত হানলে পুরো শেষ হয়ে যাবে পাকিস্তান (Pakistan)। এই বিষয়ে মার্কিন বিজ্ঞানীদের মতে, পারমাণবিক অস্ত্র মজুত রাখার জন্য ক্ষেপণাস্ত্রের প্রয়োজন। এই মুহুর্তে পাকিস্তানের কাছে রয়েছে ১৭০টি পারমাণবিক অস্ত্র। দেশের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। কোনওটি স্বল্প আবার কোনওটি বেশি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রাখা রয়েছে।
আসুন একনজরে জেনে নিই পাকিস্তানেক কোথায় ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি রয়েছে?
খুজদার: জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিটি বালুচিস্তানের সুক্কুর থেকে প্রায় ২২০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। এখানে পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণের জন্য একটি ভূগর্ভস্থ গুদাম রয়েছে। এটি ভারতীয় সীমান্ত থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিগুলির মধ্যে অন্যতম একটি।
পানো আকিল: পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিটি সিন্ধু প্রদেশে রয়েছে। এটি বিশেষভাবে পাকিস্তানের বাবর এবং শাহীন-১ ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ভারতীয় সীমান্ত থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
সারগোধা: এখানে ১০টিরও বেশি ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার রয়েছে। এর কাছেই সারগোধা অস্ত্র সংরক্ষণ কমপ্লেক্স রয়েছে, যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণ করা হয়। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে, পাকিস্তান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য কিরানা পাহাড়ের এই কমপ্লেক্সটি ব্যবহার করেছিল।
গুজরানওয়ালা: এটি একটি সামরিক ঘাঁটি, এটি পাকিস্তানের বৃহত্তম সামরিক কমপ্লেক্স হিসাবেও বিবেচিত হয়। এই এলাকাটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের উত্তর-পূর্ব অংশে ৩০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। এটি ভারতীয় সীমান্ত থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে।
আক্রো: এই এলাকাটি সিন্ধু প্রদেশের হায়দ্রাবাদ থেকে ১৮ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। এখানে একটি ক্ষেপণাস্ত্র গ্যারেজ আছে, এটি ১২টি লঞ্চারের জন্য তৈরি। এটি ভারতীয় সীমান্ত থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে।
অন্যদিকে, চরমে ভারত-পাক উত্তেজনা। পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই তলানীতে দুই দেশের সম্পর্ক। সীমান্তে চরম অস্থিরতা। এরই মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে সেনার কমান্ডার পদে নিযুক্ত হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রতীক শর্মা। জানা গিয়েছে,
উধমপুর-ভিত্তিক উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান হিসাবে জম্মু এবং লাদাখ (Ladakh) অঞ্চলে মোতায়েন ভারতীয় সেনার নেতৃত্ব দেবেন তিনি। সূত্রের খবর,0 তিন দশকের বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই অফিসার। আগামী ৩০ এপ্রিল অবসর নিচ্ছেননর্দার্ন সেনা কমান্ডার এমভি সুচিন্দ্র কুমার। তাঁরই স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন প্রতীক শর্মা।
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই ভারতীয় সেনা বাহিনী উচ্চ সতর্কতায় রটেছে। সূত্রের খবর ভারতীয় সেনা বাহিনীকে টার্গেট করেছে পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই সেনা বাহিনীর একাধিক ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানি হ্যাকাররা। কিন্তু তাতে তারা পুরোপুরি সফল হয়ে পারেনি। সূত্রের খবর আর্মি পাবলিক স্কুল (এপিএস) শ্রীনগর এবং এপিএস রানিখেতের ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু তাতে তারা সফল হয়নি। একইভাবে আর্মি ওয়েলফেয়ার হাউজিং অর্গানাইজেশন (এডব্লিউএইচও) ডাটাবেসেও পাকিস্তানি হ্যাকারদের হাত পড়েছিল বলে মনে করছেন অনেকে। ভারতীয় বিমান বাহিনী প্লেসমেন্ট অর্গানাইজেশন পোর্টালেও সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সেনা বাহিনীর এই চারটি ওয়েবসাইটই দ্রুত বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি সেগুলি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনা সূত্রের খবর কোনও ভাবেই অপারেশনাল বা গোপন নেটওয়ার্ক প্রাভাবিত হয়নি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।