
Indian Air Defence: আবারও বড় সাফল্য ভারতীয় সেনা বহিনীর। জম্মু ও পঞ্জাবের একাধিক স্থানে ইসলামাবাদের হামলার পরই ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তানের যুদ্ধ জাহাজ এফ-১৬ বা F-16কে গুলি করে নামিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর ও রাজস্থানের জয়সালমীরে ড্রোন হামলাও ব্যর্থ করেছে। আখনুরেও একটি ড্রোন মাটিতে নামিয়ে দিয়েছে ভারত।
পঞ্চে দুটি কাামিকাজে ড্রোন গুলি করে মাটিতে নামান হচেছে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে দিনে দিনে উত্তেজনা ক্রমশই বাড়ছে। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে আন্তর্জাতিক সীমন্তের ওপার থেকে জম্মুর দিকে তাক করে রকেট ছোঁড়া হয়। একটি ড্রোন জম্মুর সিভিল বিমান বন্দরকে নিশানা করে। যার কারণে ভারতের ফাইটার জেট পাল্টা আক্রমণ চালায়। ভারত তার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সতর্ক করে রেখেছিল। যারফলে পাকিস্তানের হমলার অভিপ্রায় সফল হয়নি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাকিস্তান জম্মু বিমানবন্দরের সঙ্গে সাম্বা, আরএস পুরা, আরনিয়া ও আশপাশের এলাকাগুলি টার্গেট করেছিল। এই এলাকায় এস ৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়ন করা হয়। এটি প্রায় ৮টি পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করে। জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দুটি পাকিস্তানি ড্রোন নামান হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠকে সরকার জানিয়েছে যে বুধবার ভোরে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে ভারতের সুনির্দিষ্ট আক্রমণে ১০০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে ৭ মে রাতে, পাকিস্তান ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের বেশ কিছু সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই এবং ভুজ। "এগুলিকে ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত করা হয়েছে। এই আক্রমণের ধ্বংসাবশেষ এখন বেশ কিছু স্থান থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে যা পাকিস্তানি আক্রমণের প্রমাণ দেয়।" এতে বলা হয়েছে, আজ সকালে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের বেশ কিছু স্থানে বিমান প্রতিরক্ষা রাডার এবং সিস্টেমগুলিকে লক্ষ্য করেছে। ভারতীয় প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের মতো একই তীব্রতার সঙ্গে একই ক্ষেত্রে হয়েছে। নির্ভরযোগ্যভাবে জানা গেছে যে লাহোরের একটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার এবং রাজৌরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে মর্টার এবং ভারী কামান ব্যবহার করে অকারণ গুলিবর্ষণের তীব্রতা বৃদ্ধি করেছে। "পাকিস্তানি গুলিবর্ষণে তিনজন মহিলা এবং পাঁচ শিশুসহ ষোলজন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এখানেও, পাকিস্তান থেকে মর্টার এবং কামানের গুলি বন্ধ করার জন্য ভারতকে জবাব দিতে বাধ্য করা হয়েছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী উত্তেজনা বৃদ্ধি না করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, যদি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তা মেনে চলে," বিবৃতিতে বলা হয়েছে।