নয়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রলয়কে ভারতে আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই মিসাইল কেনার প্রস্তাব নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা হলেও চলতি সপ্তাহে তা অনুমোদন পেতে পারে বলে ধারণা একাংশের।
অরুণাচল প্রদেশের তাইওয়াংয়ে ভারত- চিন সংঘর্ষের পর থেকেই। ভারত ওই সীমান্তে শুরু করেছিল যুদ্ধের মহড়া। চিনও তার তিব্বত সীমান্তে শুরু করে বিভিন্ন সামরিক প্রস্তুতি। এর মাঝেই নয়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রলয় মিসাইলকে ভারতে আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কি যে যুদ্ধের পূর্বাভাস আঁচ করেছিল বিশেষজ্ঞমহল একটু একটু করে সেই পথেই এগোচ্ছে দুই দেশ ? জানতে সময়ের অপেক্ষা।
সম্প্রতি তাইওয়াং সীমান্তে ভারত -চীন সংঘর্ষ তুঙ্গে ওঠার পর থেকে সীমান্ত নিয়ে অস্বস্তিতে আছে কেন্দ্র। চলতি সপ্তাহে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গিয়েছিলো সরকারি সূত্রে। কিন্তু তা বলে এমন ক্ষেপণাস্ত্র আনতে উদ্যোগী হওয়াকে একেবারেই ভালো নজরে দেখছেন না আন্তর্জাতিক শান্তি -বিশেষজ্ঞরা।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই মিসাইল কেনার প্রস্তাব নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা হলেও চলতি সপ্তাহে তা অনুমোদন পেতে পারে বলে ধারণা একাংশের।
জানা গেছে একাধিক আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত রয়েছে এই নয়া মিসাইলের সঙ্গে। অন্তত ১৫০-৫০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম এই রকেট। স্বল্প পাল্লার ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সীমান্তবর্তী দুর্গম প্রাকৃতিক অঞ্চলে ভারতীয় সেনার কার্যকরী অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর।এটি ‘ভূমি থেকে ভূমি' মিশাইল হলেও মাঝ আকাশে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব যাওয়ার পরে এটি তার রুট বদলে ফেলতে পারে।এমনকি খুব সহজেই এটি গুঁড়িয়ে দিতে পারে শত্রুশিবির। এমন শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিরক্ষা বাহিনী কেন তাদের তালিকাভুক্ত করার কথা ভাবছে তা খুব তাড়াতাড়ি স্পষ্ট হবে এবার।
আরও পড়ুন
বিজেপি সিংহের মতো কথা বলে কিন্তু ইঁদুরের মতো কাজ করে, মল্লিকার্জুন খড়্গের বক্তব্যে তোলপাড় সংসদ