সংক্ষিপ্ত
বিজেপি সিংহের মতো কথা বলে কিন্তু ইঁদুরের মতো কাজ করে কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের এই বক্তব্যে তোলপাড় সংসদভবন। গণতন্ত্রের পটভূমি সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পরোক্ষভাবে কুকুর বলে বিতর্কে জড়ালেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে
রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চে কুরুচিকর মন্তব্য -এই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই বিরোধীকে বিঁধেছেন নানা কটাক্ষে , কুমন্তব্যে। কিন্তু আগে যেটি খুব পরিমার্জিতভাবে হতো এখন দিন দিন সীমা লঙ্ঘন করছে। কোথাও কি এটা গণতন্ত্রের অবমাননা নয় ? গণতন্ত্রের পটভূমি সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পরোক্ষভাবে কুকুর বলে বিতর্কে জড়ালেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের বিরুদ্ধে।অভিযোগ সোমবার রাজস্থানের অলওয়ারে মোদীর নাম না করে তাকে ইঁদুর বলেও সম্মোধন করেন তিনি। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগেও প্রধানমন্ত্রীকে রাবন বলে অভিহিত করে বেশ সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। ফের এমন কুমন্তব্যে সমালোচনার ঝড় সব মহলেই।
তিনি বলেন যে অরুণাচলের তাওয়াংয়ে চিনা হামলায় সারা দেশ দেখেছে যে প্রধানমন্ত্রী বিজেপি সরকারের কথায় সিংহ, কিন্তু কাজে ইঁদুর। তার এই মন্তব্যের পরই মঙ্গলবার খড়্গেকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন বিজেপি সাংসদেরা। এনিয়ে বিক্ষোভও দেখান তারা।
ওই সভায় খড়্গে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি নেতাদের নিশানা করে বলেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে কংগ্রেসের আত্মবলিদানের তালিকা দীর্ঘ। আপনাদের (বিজেপি নেতা) বাড়ির একটা কুকুরও কি দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে? অথচ এর পরেও আপনারা নিজেদের ‘দেশপ্রেমিক’ বলে দাবি করেন। আমাদের ‘দেশদ্রোহী’ বলেন।’
খড়্গের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড়ের কাছে আবেদন জানান, ‘কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য’ কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতাকে যেন ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে ধনখড় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বলেন, ‘আমরা কি শিশু? সভার বাইরে কেউ কিছু বললে, সে প্রসঙ্গ কি সভায় তোলা যায়? দেশের ১৩৫ কোটি মানুষ আমাদের দেখছে।’
অধ্যক্ষের মন্তব্যের পরেও বিজেপি সাংসদদের একাংশ ক্ষমার দাবিতে শোরগোল চালিয়ে যান।সংসদের এই তর্ক বিতর্ক নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় গোটা দেশ।
আরও পড়ুন