করোনাভাইরাস সংক্রান্ত গবেষণায় এক যুগান্তকরী আবিষ্কারের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। সদ্যো প্রকাশিত একটি জার্নালে গবেষক দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে তাঁরা সেইসমস্ত ওষুধ ও ককটেলগুলিকে সনাক্ত করতে পেরেছেন যেগুলি আগামী দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে ওষুধ ও ককটেলগুলি করোনারভাইরাসের প্রটিনগুলিকে নিশানা করতে পারে সেগুলিকে ভালোভাবে চিহ্নিত করা গেছে।
তামিলনাড়ুর আলাগাপ্পা বিশ্ববিদ্যালয় আর সুইডেনের কেটিএইচ রয়াল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একটি সমীক্ষা চালান হয়েছিল। আর সেই গবেষণার মূল অংশটি হল সেইসব ওষুধগুলিকে চিহ্নিত করা যা করোনাভাইরাসের প্রটিনগুলিকে নিশানা করে সেগুলিকে আবদ্ধ করতে পারে। আর গবেষণায় দেখা গেছে করোনার জীবাণুর খুব দ্রুত পরিবর্তনশীল। যার অর্থ এটি তার প্রোটিনকে সংশোধন করে। সমীক্ষার লেখক বৈভব শ্রীবাস্তব ও অরুল মরুগানের মতে যেসব ওষুধগুলি একাধিক রোগ মোকাবিলায় কার্যকর সেই জাতীয় ওষুধ ভাইরাসের রূপান্ত ঘিরে কাজ করতে সক্ষম। আর সেই কারণেই বহুমুখীতা রয়েছে এমন ককটেলজাতীয় ওষুধ ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ভিনগ্রহীদের, জল্পনা উস্কের গেল ইসরাইলের বিজ্ঞানীর কথায়
'কৃষক বিক্ষোভ ভারত পাকিস্তান ইস্যু', ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভাইরাল নেটদুনিয়ায় ...
গবেষক দলের সদস্যরা জানিয়েছেন তাঁদের পক্ষে ককটেল মিশ্র জাতীয় ওষুধ প্রস্তাব দেওয়া সম্ভব গয়েছিল, যেখানে ওষুধ উচ্চমাত্রায় কাজ করতে পারে। পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে প্রোটিনগুলিকে একসঙ্গে বাঁধতে পারে। ড্রাগ ব্যাঙ্ক ডেটাবেসের ভার্চুয়াল স্ক্রিনিং ব্যবহার করে সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে প্রকাশ করা হয়েছে এই সমীক্ষা রিপোর্ট। সার্স কভ ২ কে আক্রমণ করার বিভিন্ন উপায় ও উপাদানগুলিকে চিহ্নিত করায় উপায় হিসেবেই এই সমীক্ষা করা হয়েছিল বলে জানান হয়েছে। ওধুষ পরীক্ষার অধীনে এফডিএ এবং অণু দ্বারা অনুমোদিত যৌগগুলির একটি রাসায়নিক স্থান ড্রাগ ব্যাঙ্ক ডেটাবেস বলেও একটি সংবাদ সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। বিজ্ঞানী মহলের ধারানা এই গবেষণা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে।